মো: এনামুল হক,মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি): খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং তবলছড়ি,বর্ণাল ও আমতলী ইউনিয়, পানছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা। বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ দায়িত্বরতদের সহায়তায় সিন্ডিকেটের অনিয়ম, দুর্নীতির কারণের বছরের পর বছর চরম ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকার হাজার হাজার গ্রাহক ও সাধারণ মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা যাচ্ছে সিন্ডিকেটরে পকেটে।
পানছড়ি বিদ্যুত বিভাগে দায়িত্বরত কর্মকর্তা,কর্মচারী ও মিটার রিডারগণের সার্বিক যোগশাজসে এলাকা ভিত্তিক স্থানীয় সিন্ডিকেট গঠন করা হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার সহজ সরল মানুষকে ধোকা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পানছড়ি বিদ্যুৎ বিভাগ। নিয়মের তোয়াক্কা না করে কিলোর পর কিলো চিকন বাঁশের খুঁটি, ফলজ গাছের উপর দিয়ে পাহাড় জঙ্গল ভেদ করে চিকন তারের মধ্যমে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে। যার জন্য সংযোগ ফি বাবদ গ্রাহক প্রতি ৭ থেকেে ৩০ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। কারও কারও কাজ থেকে বিদ্যুৎ খুটি দেয়ার কথা বলে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
বিদ্যুতের খুটি সাথে সংযুক্ত কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত একটি মিটার হতে ১ থেকে ২ কিমি পর্যন্ত ২০ /২৫ টি সাবমিটার স্থাপন করা হয়েছে। মাস শেষে গ্রাহক প্রতি ৩ থেকে ৮শত টাকা কন্ট্রাক বিল আদায় করে সম্মিলিত ও এলাকা ভিত্তিক সেন্ড্রিকেট চক্র। সংশ্লিট্য বিভাগের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ নিরপেক্ষ তদন্ত করলে উঠে আসবে বাস্তব চিত্র।
বিরাশি টিলা হাফেজিয়া নুরানি মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল কায়ুম সরকার বলেন, আমরা মাদ্রাসার নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। পুর্বের কমিটি মাদ্রাসা মিটার হতে এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন দিয়েছে। এ নিয়ে একাধিবার মিটিং করা হয়েছে। লাইন সরিয়ে নিতে বললে আমাদের উপর রাগ দেখায় । বলে অনেক টাকা খরচ করেছি । আমাদের টাকা ফেরৎ দেন।
গ্রাহক আলী আকবর বলেন, আমরা মিটার প্রতি ৮ হাজার টাকা খরচ করে বাঁশ ও গাছের ফাঁক দিয়ে পোনে এক কিলোমটিার দূর হতে চিকন তার দিয়ে কারেন্ট এনেছি। সাবমিটারে বিল দেয়া হয় । এতে মোটর চলেনা। জ্বলে যায়, ফ্যান পুড়ে যায়। খুঁটির ব্যবস্থা করলে আমাদের জন্য ভালো হয়।
গ্রাহক নজরুল আমিন বলেন, প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মেইন মিটার। মেইন মিটারে বিল হয়। সাব মিটার হিসেবে আমরা বিল দিই।
পানছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগে দায়িত্বরত আবাসিক প্রকৌশলী সুবাস কান্তি চৌধুরী নিজেকে যায়যায় দিন পত্রিকাসহ আরো কয়েকটি পত্রিকার কাপ্তাই প্রতিনিধি দাবি করে বলেন, পার্বত্য এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের কোন নিয়ম নেই। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না। বলতে গেলে পিডিপির বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট্য বিষয়ে আর কোন বক্তব্য না দিয়ে সাংবাদিকদের রেখে দ্রুত কার্যালয় হতে বের হয়ে যান।
খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাগত সরকার বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি। সরজমিনে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন কার হবে।