পিবিএ,মাদারীপুর: মাদারীপুরের রাজৈরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে শুক্রবার সকালে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী। উপজেলার টেকেরহাট আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বাল্য বিবাহের ঘটনায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কনের পিতাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রাজৈর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিস সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস দুর্যোগের মধ্যেও শুক্রবার টেকেরহাট শহীদ সরদার সাজাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীর গোপনে বিবাহের দিন ধার্য ছিল। এ খবর গোপনে পেয়ে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহানা নাসরিন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার কনা । আনুষ্ঠিকতার পুর্বেই শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে টেকেরহাট বন্দর আবাসিক এলাকার ছাত্রীটির বোনের ভাড়া বাসায় যায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস সহকারি মোঃ হাবিব, রাজৈর পৌর কমিশনার বাবলু বাঘা, প্রেসক্লাব সভাপতি ও অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ। এখানেই ছাত্রীটি তার বোনের ভাড়াটে বাসায় থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিল । পরে ছাত্রী ও ছাত্রীর পিতা মোঃ ইউসুব মাতুব্বরকে ইউএনও সোহানা নাসরিন ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয় । ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনার সত্যতা পেয়ে ছাত্রীর পিতা ইউসুব মাতুবরকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করে। ছাত্রীটি উপজেলার সত্যবতী গ্রামের ইউসুব মাতুব্বরের মেয়ে।
রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহানা নাসরিন বলেন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে জনগনকে সচেতন করে .তুলতে নিরন্তর কাজ করে চলছি। বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পিবিএ/আরিফুর রহমান/এএম