মানিকছড়িতে প্রান্তিক চাষীদের হাহাকার

পিবিএ,মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি): বৈশ্বিক মহামারি ‘করোনা ভাইরাস’ বিশ্ব অর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের ক্ষুদ্র,মাঝারী ও প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদিত শাক্-সবজি,ফল-ফলাদি যথাসময়ে বাজারজাত না হওয়ায় কৃষকের স্বপ্নের ফসল এখন গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার সবজিখ্যাত উপজেলা মানিকছড়ি’র কৃষককূলে চলছে সংকটকাল! প্রতিদিন হাজার হাজার টন উৎপাদিত কাঁচা তরু-তরকারী নিয়ে কৃষকরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস ও সরজমিনে বাস্তবচিত্র দেখা গেছে, পার্বত্য খাগড়াছড়ি’র নয় উপজেলার মধ্যে মানিকছড়ি উপজেলা কৃষিনির্ভর। ১৬৮.৩৫ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট জনপদে ৯০% লোক কৃষির ওপর নির্ভরশীল।

এখানে ক্ষুদ্র,মাঝারী ও প্রান্তিক কৃষক রয়েছে ৯হাজার। এর মধ্যে প্রান্তিক চাষী দুই হাজার, ক্ষুদ্র চাষী চার হাজার, মাঝারী চাষী দুই হাজার দুইশত পঞ্চাশ, বড় চাষী দুইশ পঞ্চাশ এবং ভূমিহীন চাষী পাঁচশ জন। প্রতিবছর এ উপজেলার উৎপাদিত কাচা শাক-সবজি চট্টগ্রাম,ফটিকছড়িসহ রাজধানীর সিংহভাগ আঁড়তে সরবরাহ করেন পাইকাররা। সবজির মৌসুমে এখানে প্রতিদিন কোটি টাকা লেন-দেন করেন ব্যবসায়ীরা।

এছাড়া এখানকার মাটি উর্বর হওয়ায় শতকরা ৯০ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি বৈশ্বিক মহামারি‘করোনা ভাইরাসের করাল গ্রাস আঘাত হেনেছে এখানকার কৃষিতে। ফলে উপজেলার প্রান্তিক, ক্ষুদ্র ও মাঝারী চাষীরা তাঁদের উৎপাদিত শাক-সবজি নিয়ে এখন রীতিমতো বিপর্যস্ত। উপজেলার সর্বত্র কৃষকদের ক্ষেত-খামার এখন মৌসুমী শাক-সবজিতে ভরপুর।

তিত করলা, বেগুন, টমেটো, ঝিঙ্গা, কইডা, মিস্টি কুমড়া, লঅউ,শসা,বরবটি নানা ধরণের শাক- সবজি পাহাড়ের পরতে পরতে দৃশ্যমান। তবে ‘করোনা’ করাল গ্রাস কেড়ে নিয়েছে কৃষকের স্বপ্ন ! সবজিখ্যাত উপজেলার হাট-বাজার পাইকার শুন্য। ‘করোনা’ প্রতিরোধে সরকারী বিধি-নিষেধে চট্টগ্রাম,ঢাকার পাইকার এখানে আসতে পারছেনা বিধায় সবজি’র বাম্পার ফলন হলেও তা বিক্রি করতে পারছেনা কৃষকরা।

পিবিএ/মো.জাকির হোসেন/এমএসএম

আরও পড়ুন...