মা-মেয়ের এক প্রেমিক, বিরক্ত হয়ে শাশুড়িকে খুন

কুপিয়ে হত্যা

পিবিএ ডেস্ক: বৃদ্ধার অতিরিক্ত দাপুটে মেজাজ এবং সংসারে প্রভাব খাটানোর বিষয়টি নিয়ে বেশ বিরক্ত ছিল পুত্রবধূ ও নাতনিরা। যে কারণে মা ডিম্পলের হত্যা পরিকল্পনায় শামিল হয় বড় মেয়ে কণিকা। ঘটনাচক্রে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে যায় বৃদ্ধার পুত্রবধূর প্রেমিক সৌরভও। পুলিশি জেরায় মা ও মেয়ে জানায়, শাশুড়িকে খুনের জন্য রীতিমতো চক্রান্ত করে পাঞ্জাব থেকে ডেকে আনা হয় সৌরভকে। ঘটনার রাতে প্রথমে নাতনি কণিকা তার দাদিকে খাবার খাওয়ায়। তাতেই মিশিয়ে দেয়া ছিল ঘুমের ওষুধ। তাই খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন ঊর্মিলা জুন্ড।

এরপরই ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে ঢোকেন ডিম্পল এবং তার প্রেমিক সৌরভ। প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বৃদ্ধাকে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে পেট আড়াআড়িভাবে চিরে দেয়া হয়। সব শেষে ধড় এবং মাথা আলাদা করে দেয়া হয় তার। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, শুধু পুত্রবধূ ডিম্পলই নয়। তার মেয়ে কণিকার সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিশোরী কণিকার। আপাতত তিনজনকেই মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার ভাবনাচিন্তা করছেন তদন্তকারীরা।

ভারতের কলকাতার গড়িয়াহাটে ঘটেছে এ ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার গড়িয়াহাটের গরচা ফার্স্ট লেনের ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ঊর্মিলা ঝুন্ডের ক্ষতবিক্ষত দেহ। শনিবার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যদের জেরা করে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়। শনিবার সন্ধ্যার পরই খোলে সমস্ত রহস্যের জট। নিহতের পুত্রবধূ ডিম্পল এবং তার প্রেমিক ও মেয়ে কণিকাকে জেরা করে প্রাথমিকভাবে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে পেরেছে।

পিবিএ/বিএইচ

আরও পড়ুন...