মেয়রের সশস্ত্র হামলায় কাউন্সিলরসহ যুবলীগের ১০ নেতাকর্মী আহত

রাজন্য রুহানি,জামালপুর: জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকনের সশস্ত্র হামলায় আহত হয়েছেন কয়েক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতাকর্মীসহ অন্ততঃ ১০ জন।

দুর্নীতি, নারী কেলেংকারীসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে কাউন্সিলরদের অনাস্থা ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর পৌরসভায় প্রবেশের সময় মেয়রের ক্যাডারদের হামলায় কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতাকর্মীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় এ হামলা চালিয়েছে জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকনের ক্যাডার বাহিনী।

মেয়র রোকন ক্যাডার বাহিনী নিয়ে সশস্ত্র মহড়ায় পৌরসভায় প্রবেশের সময় স্থানীয় সাধারণ লোকজন তাকে দুর্নীতির ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন এবং বকেয়া ভাতা দাবি করেন কাউন্সিলররা। মেয়র এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বাজে মন্তব্য শুরু করেন।

কাউন্সিলররা মেয়রের এ আচরণের প্রতিবাদ জানালে মেয়রের ক্যাডাররা কাউন্সিলরদের ওপর হামলা চালান।

হামলায় প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী, কাউন্সিলর কালা চাঁন পাল ও জহুরুল ইসলাম আহত হন।

এদিকে পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন চাকলাদার ঠিকাদারী কাজে পৌরসভায় গেলে মেয়রের নেতৃত্বে তার উপরও হামলা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এতে সুমন চাকলাদারসহ যুবলীগ কর্মী সাদ্দাম, নান্নু, কফিল, বাবু, লিটন আহত হন।

এদিকে ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে কাউন্সিলররা সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তারা ঘটনার বিচার দাবি করেন।

প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী জানান, মেয়র পৌরসভায় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।

সরিষাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এর আগে ১ মে শুক্রবার দুপুরে ত্রাণ, এডিপি, কবরস্থান ও বাস টার্মিনাল বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ, নারী কেলেঙ্কারী, কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য, টেণ্ডারবাজি, অস্ত্রের মহড়া, নিজের গুম নাটক, কাউন্সিলর ও স্টাফদের মাসিক বেতন-ভাতা না দেওয়া, কাউন্সিলর ও সাধারণ নাগরিকদের হয়রানিসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের বিভিন্ন অভিযোগে মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলর। কাউন্সিলরদের অনাস্থা প্রস্তাবের পর ওই মেয়রকে দল থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

পিবিএ/বিএইচ

আরও পড়ুন...