
র্যাব-২ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় ছিনতাইবিরোধী বিশেষ পৃথক অভিযান পরিচালনা করে রাজধানীর মোহাম্মদপুরসহ ধানমন্ডি, শেরেবাংলা নগর, তেজগাঁও এবং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকা হতে দেশীয় অস্ত্রসহসহ গতকাল বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে ২৬ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২। উক্ত অভিযানে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১) চাপাতি ০১টি, ২) চাকু ১৩টি, ৩) ক্ষুর ১২টি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন:- ১) মোঃ আবু সিদ্দিক (৫০), ২) মোঃ দেওয়ান কোরবান (২৫), ৩) মোঃ রাজা (২০), ৪) মোঃ রাকিব ইসলাম (২০), ৫) মোঃ রাব্বি হাসান (২১), ৬) মোঃ ইমরান পাটোয়ারি (২৩), ৭) মোঃ রাব্বি (২০), ৮) মোঃ সাকিব (১৮), ৯) মোঃ শরিফ (২৩), ১০) মোঃ দীন ইসলাম (১৯), ১১) মোঃ সজিব মিয়া, ১২) মোঃ বাবু ওরফে টেংরা বাবু (২৪), ১৩) মোঃ মিরাজ (২০), ১৪) মোঃ ফয়েজ (২০), ১৫) মোঃ মুসা (২০), ১৬) মোঃ শাকিল (২০), ১৭) মোঃ আব্দুল কাদির (২২), ১৮) মোঃ শাহিন (৩০), ১৯) মোঃ রুবেল হোসেন (৩২), ২০) মোঃ শামসের (২১), ২১) মোঃ রনি (৩৫), ২২) মোঃ আকাশ (২৫), ২৩) মোঃ হৃদয় ওরফে বেচু (২৮), ২৪) মোঃ হোসাইন জমাদ্দার (২৯), ২৫) মোঃ জাহিদ (২৪) এবং ২৬) মোঃ আশরাফুল (২০)।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) র্যাব-২ এর সহকারী মিডিয়া কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খান আসিফ তপু গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরসহ র্যাব-২ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাইকারী চক্র ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম জড়িয়ে পরছে। র্যাব-২ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় ছিনতাই ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সম্পর্কে স্থানীয় জনসাধারণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া হতে তথ্য পায় র্যাব। ফলশ্রুতিতে র্যাবের টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, শেরেবাংলা নগর, তেজগাঁও এবং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ২৬ জন ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার পূর্বক তাদের নিকট হতে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা দিনের বেলায় আত্মগোপনে থেকে রাতের বেলায় ছিনতাই করতো বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ছিনতাই ও মাদক সংক্রান্ত মামলা রয়েছে এবং এ সকল মামলায় কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে র্যাব এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।