পিবিএ,রাজশাহী: সারবিশ্বব্যাপী করোনার ছোঁবলে নিম্ন থেকে উচ্চবৃত্ত পর্যন্ত সবায় যেন একই সমান। তীল পরিমান কমবেশি নেই করোনার ছোঁবল। ধনী ও গরিব সবায়কে এক পাল্লায় মেপে নিয়েছে, কে ফকির, গরীব, দুঃস্থ, নি¤œবৃত্ত বা উচ্চবৃত্তে নেই কোন ভেদাভেদ। প্রতিনিয়ত করোনার ছোঁবল বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিজ রক্তের বাঁধনের সর্ম্পক ভুলিয়ে দিয়েছে এই করোনা। ওই সময় রাজশাহীর জেলা প্রশাসক হামিদুল হক নিজ কর্তব্য ভুলে জাননি। মানবতার ডাকে তিনি রাঁতের অন্ধকারে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষুকদের খাবার বিতরণ করছেন।
শুক্রবার দিবাগত রাতে জেলা প্রশাসকের এমনই ছবি সাংবাদিকের ক্যামেরায় বন্ধি হয়। ইতোপূর্বে তিনি জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে নিজ হাতে গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার, নিত্য প্রয়োজনিয় পন্য এবং যাদের ঘর নেই তাঁদেরকে নতুন ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সম্প্রতী তিনি এই করোনার মহামারিতে ভিক্ষুকদের নিয়ে চিন্তা চেতনায় এক নতুন অধ্যায় রচয়িত করেছেন।
রাতের আধাঁরে সবায় যখন ঘুমিয়ে তখন জেলা প্রশাসক ভিক্ষুকদের খাবার বিতরণে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। দিন রাত সব সময় তিনি অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। গৃহহীনরা তাঁদের আশ্রয় পাচ্ছে, ক্ষুর্দাথ্যরা খাবার পাচ্ছে এবং সকল শ্রেনীর ভাতার কার্ড বিতরণের ব্যবস্থা করছেন জেল প্রশাসক এমনটাই বলছেন সুবিধাভোগীরা।
সরকারী কর্তৃক বরাদ্দকৃত ত্রাণের সঠিক বনটনে বিভিন্ন উপজেলায় ইউএনওদের নির্দেশনা দেয়া আছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের আচঁরনে কেউ যেন কষ্ট না পাই সেই দিকে লক্ষ রাখতে হবে। প্রশাসনিক দায়িত্বের পরেও একটি দায়িত্ব থাকে তা হচ্ছে মানবতা। মানবতার বিবেক যখন জাগ্রত হবে তখন সবায় কর্তব্য পরায়ণ হবে বলে মনে করেন জেলা প্রশাসক।
পিবিএ/ওবায়দুল ইসলাম রবি/এমআর