পিবিএ,লক্ষ্মীপুর: কেরামত আলীর।শত বছর পার করেছেন অনেক আগেই। লাঠি ভর দিয়েই তাঁকে হাঁটতে হয়। অনেক চেষ্টা করেছেন একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড পেতে। কিন্তু কেরামত আলীর ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক ভাতার সেই কার্ড। কেরামত আলী এখন একটিই প্রশ্ন,আর কত বয়স হলে তিনি বয়স্ক ভাতার কার্ড পাবেন।এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,কেরামত আলীর বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার চরবংশীর ইউনিয়নের চরকাছিয়া গ্রামে।এ গ্রামের মৃত গাজী হজু মিয়ার সন্তান তিনি।তাঁর নিজেরও রয়েছে চার মেয়ে ও দুই ছেলে। জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মসাল (১৯২৭) অনুযায়ী কেরামত আলীর বর্তমান বয়স ৯১ বছর।
স্থানীয়দের কেউ কেউ বলেন, কেরামত আলীর বয়স আরও বেশি হবে। কেরামত আলীর দাবি,তাঁর বয়স ১২১ বছর। এই বৃদ্ধ বয়সে তাঁর আক্ষেপ, এখনো তিনি বয়স্ক ভাতার কার্ড পাননি। প্রথমে তিনি চৌকিদারের (গ্রাম পুলিশ) পেছনে ঘুরেছেন ভাতার জন্য। পরে জানতে পারেন, চৌকিদারদের ভাতার কার্ড দেওয়ার ক্ষমতা নেই। পরে চরবংশীর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও চেয়ারম্যানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন। এতেও তাঁর কোনো লাভ হয়নি। তাঁর প্রশ্ন,‘আর কত বয়স হলে আমি বয়স্ক ভাতা পাব?
কেরামত আলীর বলেন, তিনি কয়েকবার স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে বয়স্ক ভাতার জন্য অনুরোধ করেছেন। সাবেক ইউপি সদস্যের কাছেও গিয়েছেন একাধিকবার। কেউ তাঁকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেননি। এত ঘুরেও ভাতার কার্ড না পেয়ে শেষ বয়সে তিনি হতাশ। তিনি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভাতার কার্ডের দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলার সমাজসেবা উপপরিচালক মো: নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী পিবিএ কে বলেন, এখনো এ রকম বয়স্ক লোক বয়স্ক ভাতার আওতায় পড়েননি, এটা তাঁর জানা ছিল না। ২ দিনের কার্য দিবসের মধ্যে গাজী কেরামত আলীকে বয়স্ক ভাতার কার্ড দেওয়ার জন্য নিদের্শ করেন রায়পুর উপজেলার সমাজ সেবা কর্মকতাকে। এবং কেন তিনি বয়স্ক ভাতার কার্ড পায়নি তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও আদেশ করেন।
পিবিএ/আলমগীর হোসেন/বিএইচ