
পিবিএ,ঢাকা: বরগুনায় রিফাত হত্যা ঘটনার ডালপালা ছড়িয়ে পড়ছে একদিক থেকে অন্যদিকে। ইতিমধ্যে রিফাত হত্যার ঘটনায় এক নম্বর স্বাক্ষী রিফাতের স্ত্রী মিন্নির নাম উঠেছে হত্যাকারির তালিকায়। রিফাত হত্যার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় মিন্নিকে ইতিমধ্যে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে রিমান্ডে মিন্নি হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। অন্যদিকে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে স্থানীয় এমপি শম্ভু দেবনাথের ছেলে সুনাম দেবনাথ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সুনাম দেবনাথকে গ্রেফতারের দাবি জোড়ালো হয়ে উঠেছে। বেশকিছু সংবাদপত্রে সুনাম দেবনাথকে নয়ন বন্ড গ্রুপের গডফাদার হিসেবে চিহ্নি করে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই অবস্থায় সুনাম দেবনাথকে গ্রেফতার না করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক সমালোচনা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি রিফাত হত্যাকান্ডে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ একটিভ থাকছেন সুনাম দেবনাথ। মিন্নি গ্রেফতার ও তার পক্ষে আইনজীবী থাকবেনা বলে অগ্রীম বলে দিয়েছিলেন সুনাম দেবনাথ। মিন্নিকে গ্রেফতাদের পরে ঘটনা তাই ঘটেছে। তার পক্ষে ছিলো না কোন আইনজীবি।
রাজনৈতিক কারনে সুনাম দেবনাথ গ্রেফতার হচ্ছে না বলেও দাবি করা স্ট্যাটাজ দিচ্ছে সাধারণ মানুষ।
MD Jaber Ali JOy নামে একজন লিখেছেন, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এরা আজ ভয়ংকর হয়ে উঠেছে, তাই ওদের সাথে সাথে রুই, কাতলা, মৃগেল দের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।
আহসান আলী নামে একজন লিখেছেন, মিন্নি’র পক্ষে কোনো আইনজীবী না দাঁড়ানোতে আমি স্বল্পজ্ঞানে এটাই বুঝি যে, ক্ষমতাধরদের হাত আছে এর পিছনে।
কাকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে ?
মিন্নি জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে, তাই তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হলো।
তবেতো নয়ন বন্ডের আশ্রয়দাতা হিসেবে এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুনাম দেবনাথ এবং রিফাত-রিশানের আশ্রয়দাতা হিসেবে জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে প্রথম দিন থেকেই।
তাদের দুজনকেও গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিন।
আমি মিন্নি’র পক্ষে না, বিপক্ষেও না। আমি রিফাত শরীফ হত্যার বিচারের পক্ষে।
সে বিচারে নিরপেক্ষ থাকুন। নাহলে অন্য কিছু ইঙ্গিত করছে মাননীয়গণ।
দায় এড়াতে পারবেন তো?
সাইফুল বাতেন টিটো নামে একজন লিখেছেন, রিফাত হত্যা মামলার তদন্তের সার্থে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। খুনিরা একজন তার ডান হাত একজন বাম হাত। তাকে না জানিয়ে অবশ্যই খুনিরা এ কাজ করতে যায়নি।