রূপপুরে দ্বিতীয় ইউনিটে টারবাইন হল ফাউন্ডেশন বেইজের কাজ সমাপ্ত

পিবিএ,রূপপুর: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটে গত ৬ আগষ্ট, ২০১৯ টারবাইন হলের ভিত্তি স্ল্যাবের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৩,৭৮২ টন রেইনফোর্সড রড এবং ২৩,৫৫০ ঘন মিটার কনক্রিট ব্যবহৃত হয়েছে ভিত্তি স্ল্যাব নির্মাণে। প্রথম ইউনিটে টারবাইন হলের ভিত্তি স্ল্যাব নির্মাণ সম্পন্ন হয় চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারী।

রূপপুর এনপিপি নির্মাণ প্রকল্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট সের্গেই লাসতোচকিন জানান যে প্রকল্পে নির্মাণে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। টারবাইন হলের দেয়াল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
টারবাইন হলে স্থাপিত হবে টারবাইন এবং বাষ্প জেনারেটর।

রিয়্যাক্টর কোরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কুল্যান্ট (শীতলকারী পানী অথবা গ্যাস) রিয়্যাক্টরে উৎপন্ন তাপ অপসারণ করে বাষ্প জেনারেটরে নিয়ে আসে। এই তাপ শক্তি বাষ্প জেনারেটরে বাষ্প উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয়। বাষ্পের যান্ত্রিক শক্তি টারবাইন জেনারেটরে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

এই বিদ্যুৎ বৈদ্যুতিক লাইনের সাহায্যে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যায়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুটি ইউনিট নির্মাণাধিন রয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হবে একটি করে ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর। সর্বাধিক নিরাপদ এই রিয়্যাক্টরে সক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকবে।

রূপপুর প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী এগিয়ে চলছে; প্রথম ইউনিটটি ২০২৩ এবং দ্বিতীয়টি ২০২৪ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পের জেনারেল কন্ট্রাক্টর এটমস্ত্রয়এক্সপোর্ট (এএসই)। প্রতিষ্ঠানটি রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন- রসাটমের প্রকৌশল শাখা।

উল্লেখ্য, রসাটম বর্তমানে বিশ্বের ১২টি দেশে ৩৬টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট বাস্তবায়ন করছে। রূপপুর প্রকল্প নির্মাণের প্রতিটি ধাপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা-আইএইএ এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ- বায়েরা।

পিবিএ/মোঃ তুহিন হোসেন/ইকে

আরও পড়ুন...