
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান। এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা একমত হয়েছেন। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকা সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘাতের কারণে আমাদের দেশে সৃষ্ট নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৫টি পর্যবেক্ষণ রয়েছে। সেগুলো তারা র্যাবকে দেবে। সেই পর্যবেক্ষণগুলো পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগী ও পণ্য রফতানির অন্যতম বড় গন্তব্য। দুই দেশের বিদ্যমান সম্পর্কের নতুন যুগ সৃষ্টিতে কাজ করতে চায় তারা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা চুক্তি (জিসোমিয়া) নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বে বহু দেশের ভোগান্তির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সাউথ এশিয়া রিজিওনের সিনিয়র ডিরেক্টর এইলিন লুবাখার প্রমুখ।