লাইসেন্স ছাড়াই তৈরী হচ্ছে আইসক্রিম

পিবিএ,কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে ভেজা এবং স্যাঁতসেঁতে নোংরা রুমের মধ্যে ঘনচিনি, স্যাকারিন, খাওয়ার অনুপযোগী রঙ, অ্যারারুট, সুইটিক্স ও ফ্লেভার, বাসি পঁচা পাউরুটি দিয়ে তৈরী করে বাজারজাত করছে নিউ লালন নামের আইসক্রিম। উপজেলার খয়েরচারা মাঠপাড়া এলাকায় নিউ লালন নামের আইসক্রিমের কারখানার কোন লাইসেন্স নেই। রকমত হোসেন ও রাজু নামের দুজন স্থানীয় ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ব্যাবসা কার্যক্রম চালাচ্ছে।

লাইসেন্স ছাড়ায় তৈরী হচ্ছে আইসক্রিম

নামেমাত্র ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে দেদারসে আশপাশের জেলায় এ আইস্ক্রিমের ব্যবসা করে আসছে এবং অন্য এলাকায় শাখা খুলেও প্রতারণা করে আসছে। এ কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে আইসক্রিম। যে সব উপাদান এসব আইসক্রিমে ব্যবহার করা হয় তা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশুদের অস্থিমজ্জার ক্ষতি হতে পারে।

এ থেকে ব্লাড ক্যানসার, কিডনি ও লিভারের ক্ষতি হতে পারে। শিশুদের মানসিক বিকাশে এ ধরনের রাসায়নিকের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে ব্যাপক। আলেয়া খাতুন স্কুলের শিশু শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোসা. আনোয়ারা জামান জানান, স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে একটা আইসক্রিম কিনে দিয়েছিলাম আমার বাচ্চাকে। বাড়িতে ফিরতেই পেটে সমস্যা হয়।

সেই সময়ই হাসপাতালে নিয়ে গেছি। সাতদিন থাকতে হয়েছিল হাসপাতালে। আইসক্রিমগুলোর যে রঙ তা হাতে লাগলে সহজে উঠতে চায় না। এমন কি ব্যবহার করে আইসক্রিমে যা খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এই আইসক্রিমগুলো যারা তৈরি করছে তাদের সন্তানদেরকে খাওয়াতে হবে।

অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা থাকেন কিন্তু কেউ কোনো উদ্যোগ নেয় না। যদিও বা মাঝে মাঝে মোবাইল কোট করা হয়ে থাকে। সচেতন নাগরিক কমিটি সনাকের সভাপতি রফিকুল ইসলাম টুকু পিবিএকে জানান, এ ধরনের আইসক্রিম কোম্পানি বন্ধ করে দেয়া উচিত। এরা যে ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করে তা যদি কেউ জানে এবং দেখে তাহলে আর কোনোদিন এই আইসক্রিম খাবে না। মোবাইল কোর্টে শুধুমাত্র জরিমানা করলে হবে না। এ ধরনের কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। নিউ লালন আইসক্রিম কে বারবার ফোন দিয়েও ফোন ধরেন নি ।

পিবিএ/কেএসএস/আরআই

আরও পড়ুন...