শনিবার থেকে টিসিবির পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজি

পিবিএ,ঢাকা: সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) আগামী শনিবার থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এতদিন ৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করে আসছিল রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি।

আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম তাই করোনার মধ্যে নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। এ দুরবস্থার মধ্যে প্রায় ৫০৯ স্পটে ট্রাকে এবং বিভিন্ন ডিলারের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য বিক্রি করছে। আজকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী শনিবার থেকে ২৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি। যা এতদিন বিক্রি হচ্ছিল ৩৫ টাকা কেজিতে।’

নিত্যপণ্য যথেষ্ট পরিমাণে মজুদ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যথেষ্ট স্টক আছে। আমরা আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুত করেছিলাম। ফলে প্রচুর স্টক রয়ে গেছে। আরও চার মাসেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের কোনো সমস্যা হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘টিসিবি পণ্য বিক্রিতে প্রস্তুত আছে। বিশেষ করে ছোলার প্রচুর মজুত রয়েছে। যদিও আগামী রোজা পর্যন্ত এটি রাখা যাবে না। তার পরেও হয়তো অনেক পরিমাণ থেকে যাবে।’

মাঠে বাজার তদারকি টিম কাজ করছে জানিয়ে টিপু মুনশী বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সেটি পর্যবেক্ষণ করছে, যাতে কোনো অনিয়ম না হয়। ঢাকায়ও মন্ত্রণালয়ের ১০টি টিম আছে এটি পর্যবেক্ষণে। আর টিসিবি আগের চেয়ে ১০ গুণ পণ্য স্টক রেখেছিল। সে কারণে আমরা কিছুটা ভালো অবস্থায় থাকতে পারছি।’

আদা নিয়ে তৈরি হওয়া সংকট মিটেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আদার ক্ষেত্রে বাজারে কিছু সমস্যা ছিল। কিন্তু চাপ সৃষ্টি করে তা সমাধান করেছে ভোক্তা অধিকার। তারা রমজানের প্রথম সপ্তাহে থেকেই বাজার তদারকি করছে। তারা জনগণের মাঝে মাস্কও বিতরণ করেছে। ৫০ হাজার মাস্ক দিয়েছিলাম, তারা মানুষকে তা দিয়েছে। টিসিবি, ভোক্তা অধিকার ও মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক কাজ করছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার এখন পর্যন্ত ২ হাজার ২০০ জায়গায় ব্যবসায়ীদের জরিমানা করেছে। কোথাও কোথাও কিছু অসৎ ব্যবসায়ী কিছু অসাধু কাজ করছে। কোথাও কোথাও অনেকের ডিলারশিপ বাতিল হয়েছে। ফলে এটি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গত সাতদিনে কোনো অনিয়মের রিপোর্ট পাইনি।’

তিনি বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। সিটি ও মেঘনা গ্রুপকে অনুরোধ করেছিলাম, তারা আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করে চিনি, তেল ও ডালের দাম কমিয়ে দিয়েছে। আশা করি, অন্যান্যরাও এই পথে আসবে।’
পিবিএ/এএম

আরও পড়ুন...