পিবিএ ডেস্ক: ট্রেন চালকের তৎপরতায় মঙ্গলবার প্রাণ বেঁচেছিল দুই হাতির। কয়েক ঘণ্টা পর অন্য ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল পূর্ণবয়স্ক দু’টি হাতির। ১১ ডিসেম্বর, বুধবার ভোরে শিলিগুড়ি থেকে কাটিহারগামী যাত্রীবাহী ট্রেনের ধাক্কায় খড়িবাড়ির কাছে বাতাসীতে মারা যায় ওই দু’টি হাতি।
বাগডোগরা রেঞ্জের অন্তর্গত ওই এলাকা হাতি যাতায়াতের করিডর হিসেবে পরিচিত। কেন চালক সতর্ক ছিলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বন দপ্তরের কর্মকর্তারা। বন দপ্তর সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই বাতাসী এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল ৩০ থেকে ৪০ টি হাতির একটি দল।
খড়িবাড়ি, নকশালবাড়ি এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে ফসল নষ্ট করা থেকে শুরু করে বাড়ি-ঘর ভাঙারও খবরও আসছিল। বন দপ্তরের দাবি, রেলের কাছেও তথ্য ছিল যে ওই চত্বরে হাতির একটা বড় দল ঘোরাফেরা করছে। তার পরেও হাতি করিডর হিসেবে চিহ্নিত এলাকার মধ্যে কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটল?
উত্তর-পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও, রেলের কর্মকর্তাদের দাবি, ঘন কুয়াশা ছিল ভোরবেলা। সে কারণে চালক দেখতে পাননি। দুর্ঘটনার পর রেললাইনের ধারেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যায় দু’টি হাতি।
এলাকার মানুষজন ভিড় শুরু করেন হাতির মরদেহ ঘিরে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী তারা ফুল, ধূপ দিয়ে মৃত হাতি দু’টির পূজা করেন। দুপুরের পর দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য তুলে নিয়ে যায় বন দপ্তর।
পিবিএ/এমএসএম