সংস্কারের অভাব: ভালুকায় অল্প বৃষ্টিতে রাস্তায় হাটু পানি

পিবিএ, ভালুকা (ময়মনসিংহ) : ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া এলাকার দুটি রাস্তায় অল্প বৃষ্টিতে হাটু পানিতে জমে যাওয়ায় রাস্তা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী,মিলের শ্রমিক ও বিভিন্ন ধরনের যান বাহন চলাচল করতে পারে না। স্থানীয়রা দাবী অনতি বিলম্বে রাস্তাটি সংস্কার করার দাবী জানিয়েছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা সড়কে থেকে জমিরদিয়া স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকা থেকে কাশর রাস্তা ও আইডিএলএর মোড় থেকে কাশর বাজার এ দুটি রাস্তা অতি গুরুত্বপূর্ণ দুটি রাস্তা পাশে প্রায় অর্ধশত মিল কারখানা ও ১৫/২০শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিনই এ দুটি রাস্তা দিয়ে এসব মিল কারখানার শ্রমিক সহ কয়েক লাখ লোকজন,স্কুল মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী ও মিলের শত শত গাড়ি যাতায়ত করে থাকে। গত কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে রাস্তা দুটি দিয়ে মানুষ একে বারেই চলাচল করতে পারেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ রাস্তার দুই পাশের বিভিন্ন মিল মালিক ও বাসার মালিকগণ উচু করে দালান নির্মাণ করায় পক্ষান্তরে রাস্তা নিঁচু হওয়ায় বৃষ্টির পানির ঢল এসে রাস্তায় পড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি রাস্তার দুই পাশে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দুই পাশের পানি এসে রাস্তায় আটকে থাকে। জলাদ্ধতার মাঝে বিভিন্ন মিলের ভারি মালবাহী ট্রাক চলাচল করায় রাস্তায় বিশাল আকৃতির খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে রাস্তা দুটি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার কারণে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে আসতে পাচ্ছে না। যানবাহনের চাকায় ময়লাযুক্ত পানি ছিটকে গিয়ে স্কুল পড়ুয়াদের পোষাক নষ্ট হয়ে যায়।
স্থানীয় সমাজ সেবক হাজী বিল্লাল ফকির জানান, এ রাস্তায় খানাখন্দ ও জলাবদ্ধতার কারণে দুই ইউনিয়নের কয়েক লাখ লোকজন রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করতে পাচ্ছে না। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসতে পাচ্ছে না। রাস্তা দুটির পাশে অর্ধশত মিল ও কল কারখানা থাকায় মিলের শ্রমিকরা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। রাস্তার কারণে শ্রমিকদের কর্মস্থলে যেতে অসুবিধা হচ্ছে।
আব্দুল গণি মাস্টার স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী আফসানা আক্তার জানান, রাস্তায় খানাখন্দ ও সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় আমাদের ক্লাসে আসতে অসুবিধা হচ্ছে। স্কুলের পোষাক পড়ে ক্লাশে আসার পথে রাস্তায় কাঁদা ছিটে পোষক নষ্ট হয়ে যায়। গত কয়েকদিনে টানা বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি থাকায় ক্লাসে আসতে পাড়িনি।
কাশর গ্রামের পোল্ট্রি ফার্মে মালিক জামাল উদ্দিন জানান,রাস্তা খারাপ থাকার কারণে আমি আমার পোল্ট্রি ফার্মের খাদ্য দিতে পারতেছি না।

পিবিএ/আলী আকবর সাজু/বাখ

আরও পড়ুন...