পিবিএ ডেস্কঃ প্রেমের সম্পর্ক বা দাম্পত্য সম্পর্ককে একটা সময় পর্যন্ত মনে করা হতো চিরন্তন, যা কখনও ভাঙবে না। এদেশে ব্রিটিশ শাসনে মুসলিমদের বিবাহ সংক্রান্ত কিছু আইনের উল্লেখ পাওয়া গেলেও স্বাধীনতার পরেই, ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মুসলিম ম্যারেজ অ্যাক্ট এবং এই আইনের অনুষঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রসঙ্গও আসে।
এই সব প্রসঙ্গের উল্লেখ এই জন্য যে একজন নারী ও একজন পুরুষের মধ্য়ে সম্পর্ক হওয়া মানে তা চিরকালীন নয় এবং বিবাহিত সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা, এমনটা মনে করেন মনোবিদেরাও। এমনকী কিছু ক্ষেত্রে সম্পর্ক এমন একটা জায়গায় পৌঁছয় যে সেই সম্পর্ক না থাকাই ভাল। মার্কিন ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট এবং ম্যারেজ কাউন্সেলর গুন্টার এই প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদনে এমন ৫টি লক্ষণের কথা উল্লেখ করেছেন, যেগুলি প্রকট হয়ে উঠলে বুঝতে হবে যে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পথে—
১. ভালবাসা থাকলে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বিরক্তি মানুষ কাটিয়ে ফেলে। কিন্তু সম্পর্ক ভঙ্গুর হলে সেই ছোটখাটো বিষয়গুলিই হঠাৎ বৃহৎ সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এমনটা প্রতিনিয়ত হতে থাকলে বুঝতে হবে যে দু’জনের মধ্যে বন্ডিংটা দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে পড়ছে।
২. সব সম্পর্কেই পাওয়ার স্ট্রাগল থাকে। অর্থাৎ একজন আর একজনকে অবদমন করে থাকেন, আর অন্যজন সেটা মেনেও নেন। যদি এই মেনে নেওয়াটা এক সময় পরে যদি খুবই কঠিন হতে থাকে, বার বার সংঘাত হতে থাকে তবে সম্পর্ক ভাঙনের মুখে।
৩. সম্পর্কে সৎ থাকাটা যেমন জরুরি, তেমনই ভালবাসাটাও খাঁটি হতে হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যদি পরস্পরের প্রতি যত্ন কমতে থাকে এবং কথাবার্তা, যোগাযোগে গাঢ়ত্ব কমে যায়, অনেক বেশি কৃত্রিম হয়ে যায়, তবে সেটা অবশ্যই ভাঙনের লক্ষণ।
৪. সংবেদনশীল মানুষেরা যদি কোনও সম্পর্কে তাঁদের পার্টনারের থেকে ক্রমশই আহত হতে থাকেন, তবে সেই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। একতরফা আঘাত সহ্য করতে করতে তিনি এক সময়ে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইবেন।
৫. ভুলবোঝাবুঝি এবং ভুল ধারণা যদি ক্রমশই বাড়তে থাকে এবং সেগুলি মিটমাট না হয়, তবে অচিরেই সেই সম্পর্ক ভাঙবে। এই ধরনের সমস্যাগুলি সব সম্পর্কেই কমবেশি থাকে কিন্তু যদি প্রায় কয়েকদিন ছাড়া ছাড়াই যদি এমনটা ঘটতে থাকে, তবে সম্পর্ক টিঁকিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব।
পিবিএ/এমআর