মোসাব্বির হোসাইন, যবিপ্রবি প্রতিনিধি: দুরারোগ্য কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে শরীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী সাফায়েত হোসেন রক্তিমের অকাল প্রয়াণে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।
সাফায়াতের সহপাঠীরা জানিয়েছেন, আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে ফরিদপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাফায়াতে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি দুরারোগ্য কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সাফায়াতের দুটি কিডনির কার্যকারিতায় প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সাফায়েত শুধু মেধাবীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের মূল ক্রিকেট দলের নিয়মিত খেলোয়াড়। সাফায়াতের মৃত্যুতে যবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এক শোক বাণীতে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আমার সন্তান সমতুল্য মনে করি। তাঁর মৃত্যুতে বিশ^বিদ্যালয় একজন মেধাবী সন্তানকে হারালো। সাফায়েতের পাশে দাঁড়াতে আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে তাঁর সহপাঠীরা যে নিরন্তন চেষ্টা করেছে, তা বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাসে নজির হয়ে থাকবে। আমি সাফায়েতের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পিতা-মাতা, পরিবার-পরিজন, দীর্ঘদিনের সহপাঠীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
এদিকে সাফায়াত হোসেন রক্তিমের অকাল প্রয়াণে যবিপ্রবির শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি ও কর্মচারী সমিতি গভীর শোক প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে যবিপ্রবি ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও তাঁর অকাল প্রয়ানে গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
পিবিএ/বিএইচ