পিবিএ,উলিপুর: আওয়ামী লীগের জনবিচ্ছিন্ন একটি গ্রুপ দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে সাবেক সংসদ সদস্যের মাধ্যমে আত্মহত্যার মতো স্পর্শকাতর হুমকী দিয়ে সংবাদ শিরোনামে আসতে অপকৌশল নিয়েছিলেন সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন তালুকদার। আজ (২৫ ফেব্রুয়ারী)মঙ্গলবার সকাল ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের জনবিচ্ছিন্ন একটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে নানা ধরনের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন তালুকদার ২৭ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে দলকে পরিবারতন্ত্রে পরিণত করেছিলেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে এমপি হওয়ার সুবাদে টিআর,কাবিখা প্রকল্প নামে-বেনামে বিক্রি করে দলকে জনবিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন। ১৯৯৬ সালের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরোধীতার মধ্য দিয়ে দলকে জনবিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০১ ও ২০১৫ সালের উলিপুর পৌরসভা নির্বাচন ও ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার পুত্র সাজাদুর রহমান তালুকাদার সাজুকে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে প্রার্থী করে আওয়ামী লীগের সুনিশ্চিত বিজয় ঠেকাতে নানান ষড়যন্ত্র শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার সাবেক এমপি তার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে যেসব অভিযোগ করেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন তালুকদার তার অনুসারী ও বহিস্কৃত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মতি শিউলি কে নিয়ে ১০ম সংসদ উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরোধীতা করে লাঙ্গল মার্কার প্রার্থীর হয়ে কাজ করেন। ফলে সামান্য ভোটে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হেরে যান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমজাদ হোসেন তালুকদার প্রকাশ্যে তার অনুসারীদের নিয়ে লাঙ্গল মার্কার প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেন। সেই সাথে বহিস্কৃত সভাপতি মতি শিউলি তার দূর্নীতিবাজ স্বামী দুদকের মামলার আসামী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল হক বাই-সাইকেল প্রতীকের পক্ষে সরাসরি নির্বাচন করেন।এ কারনে কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগ তাকে বহিস্কার করেছিলেন দল বিরোধী এই চক্রটি সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ম্লান করতে পূণরায় সংগঠিত হয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার হীন অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মতি শিউলি তাৎক্ষনিক দেয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি তৃণমূলের নিবেদিত প্রাণ কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে গনতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে দল পরিচালনা করেছি। এখন মুখ দেখে দেখে দলে লোক ঢোকানো হচ্ছে , যাদের সাথে আওয়ামী লীগের কোন সম্পৃক্ততা ছিলনা। তার স্বামীকে দূর্নীতিবাজ উল্লেখ করার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে দায়ের করা মামলা উচ্চ আদালত খারিজ করে দিয়েছে। যারা দলের ভিতর নানা দূর্নীতি ও টাকার বিনিময় ইউনিয়ন-ওয়ার্ড কমিটি গঠন করেছে তাদের মুখে এসব কথা মানায় না। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এরশাদ-ই-হাবিব মোফা, সিনিয়র নেতা সাইদুল হক বাচ্চুসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নের্তৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পিবিএ/রোকনুজ্জামান মানু/বিএইচ