সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ছাত্র তানভীর হোসেন তুহিন (১৮)হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধান আসামীসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার (২৬জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় সিলেট নগরীতে অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী দক্ষিণ সুরমার আলমপুরের আবুল হোসেনের ছেলে কামরুল ইসলাম (১৬) ও ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার বারাকান্দি গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে ফারুক আহমদ হৃদয় (১৫) কে গ্রেফতার করে এসএমপির মোগলাবাজার থানায় হস্তান্তর করে র্যাব ৯।
শনিবার (২৭ জুলাই) প্রধান আসামী কামরুল ও হৃদয় কে আদালতে হাজির করে কারাগারে প্রেরন করা হয়। এর আগে বুধবার (২৪ জুলাই) দক্ষিণ সুরমার কদমতলিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এলাকার আব্দুল আলিমের ছেলে আবু তায়েফকে (১৮) গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) তায়েফকে সিলেট মহানগর হাকিম সাইফুর রহমানের অদালতে হাজির করলে সে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
বিষয়টি মোগলাবাজার থানা সুত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে। জানা যায়, বুধবার (২৪ জুলাই) সকালে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি কম্পিউটার কোর্সের শিক্ষার্থী তুহিনের জুতা ক্লাসের সামনে থেকে হারিয়ে যায়। পরে সহপাঠী কামরুলের পায়ে দেখতে পেয়ে তুহিন তার জুতা বলে ফেরত চায়।এ নিয়ে সহপাঠী কামরুলের সাথে তর্কাতর্কি হয় তার।বিষয়টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রর অধ্যক্ষ মিমাংসা করে তুহিন কে জুতাটি ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু দুপুরে ১০/১২ জন যুবক কে সাথে নিয়ে তুহিনকে মারধর করে কামরুল। এ সময় কাঠের টুকরো দিয়ে তুহিনের মাথায় আঘাত করে তারা।
আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে দুপুরে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঢাকায় যাওয়ার পথে সন্ধ্যার পর সে মারা যায়। তুহিন গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জের কোনাচর দক্ষিণভাগ পলিকাপন গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র। ওই রাতেই নিহত তুহিনের চাচা নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে তায়েফ, কামরুলসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
পিবিএ/শাহেদুর রহমান জুনেদ/বিএইচ