সীমান্তবর্তী তিন জেলায় “আল্লাহর দল” সক্রিয়

পিবিএ,চুয়াডাঙ্গা: মেহেপুর, ঝিনাইদহসহ আশপাশ জেলায় “আল্লাহর দল” সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের গোপন বৈঠকে র‌্যাব হানা দিয়ে ৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) রাতে মেহেরপুর জেলার প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গেছে, “আল্লাহর দল” সদস্যরা বৈঠক করছে এমন খবরে গত বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা জাফরপুর প্রাইমারী স্কুল মাঠে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। এসময় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কুলচারা গ্রামের রুহুল আমিন (৪০), সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের মো. কলম মন্ডল (৩৮) ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের নূর ইসলাম (৩৮)কে আটক করা হয়।

র‌্যাবের দাবি- আটকের সময় তাদের কাছ থেকে প্রচারপত্র, সংগঠনের সদস্যদের নামের তালিকা, গোপন বৈঠকে হাজিরা খাতার অনুলিপিসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং তিনটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়।

ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬’র জানান, গত ২৮ নভেম্বর সংগঠনের কর্মকান্ডকে গতিশীল করতে চুয়াডাঙ্গার জাফরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গোপন বৈঠক করছিল নিষিদ্ধ সংগঠন ‘আল্লাহর দল’ এর সক্রিয় সদস্যরা। সেখানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় রবিউল ইসলাম পালিয়ে গেলেও সোমবার রাতে তাকে চুয়াডাঙ্গা শহরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার হয়েছে। সে সংগঠনের মেহেরপুর জেলার প্রধান (সহবিভাগ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

গ্রেফতারকৃত রবিউল ইসলাম টুটুল মেহেরপুর জেলার বুড়িপোতা গ্রামের মৃত খোদাবক্স মালিতার ছেলে। ঝিনাইদহ র‌্যাব ৬ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, সরকার বেশ কিছুদিন আগেই আল্লাহর দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এটা একটি জঙ্গী সংগঠন। এই সংগঠন চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ঝিনাইদহ আশপাশ এলাকায় সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। একই সাথে তারা জিহাদী হয়ে উঠতে শুরু করেছে।

তিনি আরও জানান, তারা যেন নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে, এজন্য আমরা পোশাকে ও সাদা পোশাকে নজদারীতে রেখেছি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, একেক বাহিনী একেক স্টাইলে কাজ করে। তবে আমাদের কাছে “আল্লাহর দল” সম্পর্কে কোন তথ্য নেই। শুধু জানি ১০ ডিসেম্বর র‌্যাব একটা মামলা দিয়েছে।

পিবিএ/সনজিত কর্মকার/বিএইচ

আরও পড়ুন...