পিবিএ ডেস্ক: গত সোমবার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে রাজ্যটিকে ছোট দুই ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের সঙ্গে রাখা হয়েছে হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুকে আর আলাদা করা হচ্ছে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ লাদাখকে।
এ নিয়ে দেশ-বিদেশে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ৯টি রাজ্যে ভাঙনের সুর বইছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে রাজ্যগুলোর নাগরিকরা।
ভারতের সংবিধানের ৩৬৮ ধারার ভিত্তিতে ৩৭১ নম্বর ধারায় নয়টি রাজ্যকে বেশ কিছু বিশেষ সুবিধা ও অধিকার দেয়া হয়েছে। ওই রাজ্যগুলো হলো; কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, আসাম, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল ও অন্ধ্রপ্রদেশও রয়েছে।
কাশ্মীরিদের জন্য রক্ষাকবচ সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বাতিল করায় এখন বাকি রাজ্যগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ওইসব রাজ্যেও ভাঙনের সুর দেখা যাচ্ছে।
মিজোরামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা লালথানহাওলা বলেন, এ ঘটনা মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশের মতো রাজ্যের পক্ষে আতঙ্কের।
কংগ্রেস মুখপাত্র লাল লিয়াংচুঙ্গা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ৩৭১ ধারায় হাত পড়লে রুখে দাঁড়াবে মিজোরা। নিজেদের অধিকার রক্ষায় আমরা আত্মবলিদানেও প্রস্তুত।
নাগাল্যান্ডের বৃহত্তম জনজাতি মঞ্চ নাগা হো হো-র সভাপতি চুবা ওঝুকুমের বলেছেন, আমরাও অধিকার হারানোর আশঙ্কায় ভুগছি। ভারত-নাগা শান্তি আলোচনা চলাকালীন কেন্দ্র নাগাদের অধিকারে হাত দিলে ফল খারাপ হবে।
পিবিএ/ইকে