
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে অনীহা ও মতিঝিলের রাস্তা বিএনপির এত পছন্দ কেন জানতে চান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে তথ্যমন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে একটি মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ দুটি প্রশ্ন করেন।
মিশরে অনুষ্ঠিত ‘কপ-২৭’ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ সম্পর্কে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জজার্নালিস্ট ফোরাম সভাটির আয়োজন করে। ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেনসহ অন্যান্য সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ। সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, বিএনপিকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আলোচনার সময় তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তাদের সেখানে অনীহা কেন?
হাছান মাহমুদ বলেন, রাস্তায় সভা করলে গাড়ি ভাঙা যায়। মাঠের বিকল্প মাঠ হতে পারে। কিন্তু তারা তা বলে না। মতিঝিলের রাস্তা তাদের কেন এত পছন্দ? কারণ, এটি ঢাকা শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তা। এখানে অনেক ব্যাংক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাহলে কেন তারা সেখানে সমাবেশ করতে চায়? এর পেছনে নিশ্চয়ই দুরভিসন্ধি আছে।
তিনি আরও বলেন, রাস্তায় সমাবেশ করলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হয়। এটা কোনো দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য হতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে তারা কোনো জনসভা করতে চায় না। ইস্যু তৈরি করতে চায়, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। সরকার দেশে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেবে না। কেউ এ চেষ্টা চালালে দলের নেতারা জনগণকে নিয়ে তা প্রতিহত করবে।
বিএনপি কূটনৈতিকদের নিয়ে বৈঠক করছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এদেশে কে ক্ষমতায় থাকবে কে থাকবে না এটা জনগণ ঠিক করবে। কূটনীতিকদের এ সুযোগ নাই। তারা কাউকে ক্ষমতায় বসানোর ক্ষমতা রাখে না। তারা ছুটে যায় বলে কূটনীতিকরা অতিরিক্ত কথা বলার সুযোগ পায়। আভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বললে সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করা হয়।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী ও ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার জারির বিষয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আগুন সন্ত্রাসে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়িত। তাদের এ নির্দেশের ভিডিও আমাদের কাছে আছে। আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা দিয়েছে, পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। আদালত জামিন বাতিল করেছেন, এখানে সরকারের কিছু করার নেই।