
পিবিএ,ঢাকা: জয়পুরহাট শহরের প্রামাণিক পাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোয়াজ্জেম স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্র ছিল। ভিকটিম মোয়াজ্জেম ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকেলে বাড়ি থেকে বেড়ানোর কথা বলে বের হয়। উক্ত তারিখে আসামী মোঃ সুজন (৩৭), ও তার সঙ্গীয় অপরাপর আসামীরা মোয়াজ্জেমকে চিত্রা সিনেমা হল এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিটি এলাকায় একটি কবরস্থানের পাশে অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে জামালগঞ্জ রোডের একটি আমগাছের নিচে ফেলে রেখে যায়। এরপর স্থানীয়রা ভিকটিম মোয়াজ্জেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেই রাতেই মোয়াজ্জেম মারা যায়।
উক্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। যার মামলা নং-৩৩, তারিথ-১৯/০৬/২০০২ ইং, ধারা-৩০২/৩৪, দন্ডবিধি। পরবর্তীতে মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুব আলম ২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ ২২ বছর পর শুনানি শেষে জয়পুরহাট আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডাদেশ রায় ঘোষণা করেন। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণার পর ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। র্যাব-১০ উক্ত হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পেরে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক ১৯:০০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং র্যাব-০৫ এর সহযোগীতায় জয়পুরহাট জেলার সদর থানাধীন ভাদসা বাজার এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে জয়পুরহাট সদর থানার মামলা নং-৩৩, তারিথ-১৯/০৬/২০০২ ইং, ধারা-৩০২/৩৪, দন্ডবিধি ; মামলায় মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামী মোঃ সুজন (৩৭)’কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত মামলার মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী বলে স্বীকার করেছে। সে মামলা রুজুর পর হতে জয়পুরহাট সদরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।