দুই মাসে ৭শত আবেদন

হাটহাজারীতে ই-নামজারি’তে হয়রানী থেকে রেহাই পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

মোহাম্মদ হোসেন,হাটহাজারী: একটা সময় দালালদের ভিড়ে টেকা দায় ছিল চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা ভূমি অফিসে। গ্রামের সাধারণ মানুষ এসব দালালের কারণে আর্থিক ক্ষতি ও হয়রানির শিকার হতেন। কিন্তু অনলাইন পদ্ধতিতে ‘ই-নামজারি’ চালু হওয়ায় বদলে গেছে ভূমি অফিসের চিত্র। অনলাইনে আবেদনের পর গ্রাহকের নামজারি আবেদন সম্পন্ন হয়েছে কি না, তা আবেদনকারীর মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে জানানো হয়। বর্তমান সহকারী কমিশনার(ভুমি) মোঃ আবু রায়হান, দায়িত্ব নেওয়ার পর ই-নামজারি তে বদলে দিয়েছে ভুমি অফিস।

গত দুই মাসে উপজেলা ভুমি অফিস মডেল হিসেবে এলাকাবাসীর কাছে গ্রহনযোগ্য হয়ে উঠেছে। এখন ভূমি অফিসে আগের মত জমির খাজনা-খারিজ, ভূমির নাম জারী, মিসকেস সহ ভূমি সংশ্লিষ্টদের সেবা পেতে জনসাধারণকে আর মাসের পর মাস অপেক্ষায় থাকতে হয় না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই অতিরিক্ত অর্থ (ঘুষ) ব্যতিত সব ধরনের ভূমি সেবা পাচ্ছে এলাকাবাসী। আধুনিক পদ্ধতিতে জনগনকে শতভাগ ভূমি সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে খোলা হয়েছে তথ্য হেল্পডেস্ক ও অভিযোগ কেন্দ্র। জনসাধারনের সুবিধার্থে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও অফিসের কোন দপ্তরে কার কি দায়িত্ব তা অবহিত করার জন্য টাঙানো হয়েছে নোটিশ বোর্ড। ভূমি অফিসের এসব আমুল পরিবর্তনের কারিগর হিসেবে ভূমিকা রেখে চলেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু রায়হান। সরেজমিন কথা হলে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু রায়হান এ প্রতিবেদককে বলেন, গেল জুলাই থেকে সরকারি নির্দেশনার পর থেকে অনলাইন সেবার বিষয়ে উপজেলাজুড়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়।

সেবাসংক্রান্ত প্রচারপত্র ইউনিয়ন ভূমি অফিসসহ অনলাইন, ফেসবুকে প্রচারণা চালানো হয়। এসব কারণে মানুষ এখন অনলাইনে সেবা নিচ্ছে। সাড়াও মিলছে বেশ। গত দুই মাসে প্রায় ৭শত ই-নামজারি আবেদন পড়েছে। অনলাইন সেবাটি শতভাগ বাস্তবায়ন করতে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মচারীদের নিয়ে মাঝে মধ্যে অফিসে পরামর্শ আলাপ আলোচনা কওে দিন দিন জনগণের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেবা নিতে আসা লোকজন অহেতুক হয়রানীর শিকার না হয়। পাশাপাশি সেবা নিতে আসা মানুষের সঙ্গে বিনয়ী আচরণের নির্দেশনাও দেন তিনি। তবে কোনো অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

আরও পড়ুন...