পিবিএ,হাটহাজারী : চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মুন্সি মিয়া মেম্বারের বাড়ীতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১০ পরিবার নি:স্ব। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে রাতে মেখল ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দীন চৌধুরী ও দুপুরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ ঘটনাস্থল পরির্দশন করে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবারকে ২টি করে কম্বল ও নগদ ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগীতা দেওয়া হবে বলে জানা যায়।
গতকাল (২৫ ফেব্রুয়ারী) মঙ্গলবার রাত ১১.৪০মিনিটে এ অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়। অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ৩৫ লাখ টাকা হবে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছে।জাহাঙ্গীর আলম,পিতা মৃত মোহাম্মদ রাজা মিয়ার ঘর থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী কাজী মো. এরশাদ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়,লেলিহান শিখা মূহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে না পেরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস লিডার মোঃ আবু জাফার এর নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের ২টি গাড়ী ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে আগুনে বেশির ভাগ ঘর আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ভস্মিভূত হয় ১০টি বসতঘর একে ভারে নি:স্ব হয়ে যায়।
এতে ১০টি পরিবারের টিনসেড ঘর নি:স্ব হয়ে গেছে।অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন ১/ জাহাঙ্গীর আলম,পিতা মৃত মোহাম্মদ রাজা মিয়া ২/ আবুল কালাম পিতা ঐ,৩/মোঃসুমন,পিতা.তফাজল হোসেন,
৪/আনা মিয়া,পিতা,আলী হোসেন৫/মোঃ ফরিদ পিতা.শামসুল আলম ৬/বকতিয়ার হোসেন,পিতা শামশুল আলম,৭/ নরুল আফচার পিতা ঐ ৮/মো গিয়াস উদ্দীন ( আলমগীর) ঐ,৯/বেবী আকতার পিতা শামশুল আলম, ১০/ দিলওয়ারা বেগম) পিতা ঐ।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ১০ পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
অগ্নিকান্ডে ১০পরিবারের নগদ টাকা, স্বংর্ণংকার, মূল্যবান কাগজপত্র, আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি সহ মূল্যবান জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ৩৫ লাখ টাকা হবে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছে।
এদিকে,অগ্নিদূগর্তদের উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবারকে ২টি কওে কম্বল ও নগদ ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগীতা দেওয়া হবে বলে এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ।
পিবিএ/ খোরশেদ আলম শিমুল/জেডআই