পিবিএ,হাটহাজারী: হাটহাজারী ১১মাইল পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে হতরল বর্জ্য দক্ষিন এশিয়ার একমাত্র মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ফেলে নদীর পানি দূষণের অপরাধে ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদফতর। একইসঙ্গে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) ও অয়েল ওয়াটার সেপারেটর স্থাপন না করা পর্যন্ত এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রাখারও আদেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।
বুধবার (১৭ জুলাই) পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসাইন নিজ দফতরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে দক্ষিন এশিয়ার একমাত্র মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীদূষণের অভিযোগ সংক্রান্ত শুনানি শেষে এই আদেশ দিয়েছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরে চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, হাটহাজারী পৌর সভার ১১মাইল ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট বিদ্যুৎকেন্দ্রের তরল বর্জ্য ফেলে মরছড়া খাল হয়ে হালদা নদীর পানির সঙ্গে মিশে যাবার প্রমাণ পাওয়ার পর তাদের শুনানিতে হাজিরের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। শুনানি শেষে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৭ ধারায় ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) ও অয়েল ওয়াটার সেপারেটর স্থাপন না করা পর্যন্ত এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রাখারও আদেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।
উল্লেখ্য গত সপ্তাহের একটানা ভারি বৃষ্টির মধ্যে গত ৮ জুলাই সকালে হাটহাজারী উপজেলার ১১মাইল ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট বিদ্যুৎকেন্দ্রে থেকে তরল বর্জ্য ছেড়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন ঘটনাস্থলে যান। তিনি পরিবেশ অধিদফতরে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এরপর ওইদিনই পরিবেশ অধিদফতরের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। তারা দেশের একমাত্র কার্প জাতীয় মাছের প্রজননক্ষেত্র হালদায় বর্জ্য আসার প্রমাণ পান। এই বর্জ্য পানির সঙ্গে মিশে হালদায় মা মাছের বিচরণ ও প্রজননকে হুমকির মুখে ফেলছে বলে অভিযোগ পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের।
পিবিএ/খোরশেদ আলম শিমুল/বিএইচ