সোহেল রানা,হিলি: করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন ও অসহায় মানুষদের খিদের জ্বালা মিটাতে হিলি সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকায় বসেছে ১ টাকার দোকান। যেখানে ১ টাকায় মিলছে একটি পরিবারের এক বেলার আহার। করোনার সংকটময় মূর্হুতে এক টাকায় একবেলার আহার- এমন দোকান যেন সীমান্তবর্তী কর্মহীন মানুষের জন্য আশির্বাদ হয়ে এসেছে।আর এমন উদ্দ্যেগকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।
করোনার ক্লান্তি সময়ে এমন এই দোকানের আয়োজক সীমান্তবর্তী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত হাকিমপুর ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসকারী প্রতিষ্ঠান।
আজ শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হিলি সীমান্তের ক্যাম্প পট্টির সামনের বালুরচর বস্তি, চুড়িপট্টি ও আদিবাসীপাড়াসহ নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় যেখানে গরীব অসহায় দুঃস্থ মানুষজনের বসবাস, সেসব এলাকায় এই এক টাকার ভ্রাম্যমান দোকান নিয়ে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের মাধ্যমে তাদের মাঝে পণ্য বিক্রি করছেন ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। এক টাকার বিনিময়ে প্রত্যেককে দেওয়া হচ্ছে, ১ কেজি করে চাল, আড়াইশো গ্রাম পেঁয়াজ, আড়াইশো গ্রাম আলু, পুইশাক ও মিষ্টি কুমড়া।
এসময় কথা হয় সীমান্তবর্তী করিম,আসমান ও সাফিয়ার নামের দিনমুজুরের সাথে তারা বলেন,করোনার এই মহামারীতে আমাদের কোন কর্ম নেই। কর্ম না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে এক প্রকার মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।এমন অবস্থায় আমাদের পাড়ায় কিছু যুবক এক টাকা নামের দোকান বসিয়েছে। আমরা সেখান থেকে প্রতিদিন ১ টাকা দিয়ে এক বেলার আহার কিনতে পারছি,এটা আমাদের জন্য অনেক ভালো হয়েছে।
কথা হয় হাকিমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি মেহেদী হাসান সোহাগের সাথে তিনি জানান,আমাদের এই সংগঠনের উদ্দ্যেগে করোনা মহামারীর শুরু থেকে গরীব,কর্মহীনদের সাহায্য ও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি তাদের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তের ক্যাম্প পট্টি এলাকায় আমরা এক টাকা নামের একটি দোকান বসিয়েছি। যেখান থেকে কর্মহীন ও গরীব মানুষরা এক টাকা দিয়ে এক বেলার আহার কিনতে পারবে। আমরা প্রতিদিন ৩০টি পরিবারের খাবার নিয়ে দোকান সাজিয়েছি। যতদিন পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে ততোদিন পর্যন্ত আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে কথা তৌহিদুর রহমান নামের স্থানীয় এক সচেতন নাগরিকের সাথে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন উদ্দ্যেগ নিঃন্দেহে একটি ভালো কাজ। সমাজের ধনী ব্যক্তিদের উচিত তাদের মত এসব দরিদ্র পরিবারের পাশে দাড়ানো।এটি যদি তারা অব্যহত রাখতে পারে তাহলে সমাজের দরিদ্র মানুষের জন্য উপকার হবে।
পিবিএ/বিএইচ