পিবিএ,ঢাকা: এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে তাদের কারও দেহেই করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বুধবার এ তথ্য জানান আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, যাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের মধ্যে ২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায়।
‘‘চীনের বাইরে পরিস্থিতি অনুযায়ী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ে খুব বেশি আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশ করোনার ঝুঁকিতে আছে। তবে প্রতিরোধে যথেষ্ট প্রস্তুতিও রয়েছে।’’
রাজধানীর তিনটি সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালকে করোনার চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। তবে হাসপাতাল তিনটির সক্ষমতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে গুজবে কান দিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘কোনো তথ্য জানতে চাইলে আইইডিসিআর-এ সরাসরি যোগাযোগ করবেন। যদি কোনো রোগী পাওয়া যায় তবে তাকে দ্রুত আইসোলেশনে নেয়া হবে।’
করোনা ভাইরাস নিয়ে যাতে গুজব ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সঠিক তথ্য ও সংবাদ প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সিঙ্গাপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৫ বাংলাদেশির মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে দেশবাসীকে তার জন্য দোয়া করার অনুরোধ জানান ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা।
আইইডিসিআর পরিচালক আরও বলেন, বাংলাদেশের কোনো প্রাণী বা পশুপাখির ভেতর করোনার উপস্থিতি নেই। তবে অসুস্থ বা যে কোনো সংক্রমিত প্রাণী থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেলে প্রথমে সে সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানানো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভালো ল্যাবরেটরি আছে এমন যে কোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হবে। রোগীর যেন অতিরিক্ত খরচ না হয় সে ব্যবস্থাও নেয়া হবে।
করোনার জন্য বিশেষ কোনো চিকিৎসা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই একই ধরনের উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকরা সিটিস্ক্যান করতে দিচ্ছেন জানিয়ে ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এই পরীক্ষাটি সতর্কতা হিসেবে দেয়া হচ্ছে। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়।
পিবিএ/এমআর