জামালপুরে এক করোনা রোগী শনাক্ত, লকডাউন একটি ইউনিয়ন

লকডাউন

পিবিএ,জামালপুর: জামালপুরের মেলান্দহের বীর ঘোষেরপাড়া গ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ বছর বয়সী এক যুবক। শনিবার ওই যুবকের নমুনা সংগ্রহের পর লকডাউন করা হয় আশেপাশের ১০টি বাড়ি। নমুনা পরীক্ষায় ওই যুবকের মধ্যে করোনা উপস্থিতি রয়েছে বলে আজ রবিবার জামালপুর স্বাস্থ্য বিভাগকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ প্যাথলজি বিভাগ। করোনা শনাক্তের তথ্য নিশ্চিত হবার পর রোগীর নিজ এলাকা ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নকে আজ রাতে লকডাউন করা হবে বলে জানিয়েছেন জামালপুর জেলা প্রশাসন।

আজ রাতেই ওই রোগীকে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মো. মাহবুবুর রহমান।

মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামীম আল ইয়ামীন পিবিএ’কে জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীটি ঢাকায় হরাইজন ক্লাসিক নামে একটি প্লাস্টিক কোম্পানিতে রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। ২৬ মার্চ ঢাকা থেকে তিনি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার বীর ঘোষেরপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার পর তার সর্দিজ্বর ও গলাব্যথা দেখা দিলে রোগী নিজেই মেলান্দহ স্বাস্থ্য বিভাগে যোগাযোগ করেন। তাকে দেখতে বাড়িতে যান মেলান্দহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিলে শনিবার নমুনা সংগ্রহ করার পর ওই রোগীর বাড়িসহ আশেপাশের ১০ বাড়ি লকডাউন করা হয়। ওই রোগীটি ৩জন রুমমেটের সাথে ঢাকার আশকোনায় থাকতেন। রুমমেট তিনজনের বাড়ি মেলান্দহের ভাবকী ও মধ্যের চর গ্রামে।

জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মো. মাহবুবুর রহমান পিবিএ’কে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। নমুনা পরীক্ষায় ওই রোগীটি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে আজ রবিবার সন্ধ্যায় অনানুষ্ঠানিকভাবে মোবাইলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

ঘোষের পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান ওবায়দুর রহমান পিবিএ’কে জানান, শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন ওই রোগীটির বাড়িতে আসেন। নমুনা সংগ্রহের পর রোগীটির বাড়িসহ আশেপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়। এলাকায় মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ওই রোগীর বাড়িসহ আশেপাশের ১০টি বাড়ির লোকজন বাইরে বের হতে পারবেন না। এমনকি কেউ ওই বাড়িগুলোতে যেতেও পারবেন না। লকডাউনে থাকা ১০টি বাড়ির লোকজনদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ করা হবে।

জামালপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক পিবিএ’কে বলেন, এখন পর্যন্ত ১০টি বাড়ি লকডাউন আছে। আজ রাতের মধ্যে পুরো ইউনিয়ন লকডাউন হবে। করোনা আক্রান্ত রোগীটির সাথে এক রুমে থাকা ৩জনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিবিএ/রাজন্য রুহানি/বিএইচ

আরও পড়ুন...