তাহিরপুরে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে দোকানে হামলা, আহত ৩

পিবিএ,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে দোকান ঘর ভাংচুর করাসহ মালামাল ও টাকা লোট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মুজিবুর রহমান(৫৭), তার ছেলে রেজুয়ান মিয়া(২৪)ও রেজুয়ানের চাচী কুলসুমা খাতুন (৩৬) আহত হয়েছে ৩ জন।

আহতদের মধ্যে মজিবুর ও কুলসুমাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এবং গুরতর আহত রেজুয়ানকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল ৩ টার সময় উপজেলার উত্তর বাদাঘাট ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামে। এ ঘটনায় মজিবুর রহমান বাদী হয়ে গতকাল শনিবার রাতে রহমতপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে ইউপি সদস্য জাকির হোসেন(৪৫), তার ভাই তৌফিক মিয়া(৪০), কামরুল ইসলাম (৩৮), এস ভি জামান(৩৬), আল আমিন(৩২)সহ ১৪ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করে।

থানায় অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, রহমতপুর গ্রামের জামে মসজিদের ঈমামকে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মজিবুরের পরিবারের সাথে জাকির মেম্বারের পরিবারে বিরোধ চলে আসছিল।
এরই জেরধরে গতকাল শনিবার বিকালে মজিবুরের বাড়ির সামনের একটি বন্ধকি জমি নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে জাকির মেম্বার তার আত্নীয় স্বজনদের ফোনকরে নিয়ে ৪০/৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে এসে মজিবুরের বাড়িতে হামলা করে।
এসময় মজিবুরের বাড়ির সামনে থাকা একটি মোদি দোকান ঘর ভাঙ্গচুর করে।
দোকানে থাকা বিভিন্ন প্রকারের প্রায় ৭০ হাজার টাকার মালামাল সহ দোকানের ক্যাশ ভেঙ্গে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লোট করে নিয়ে যায়।

এসময় তাদের বাধা দিতে গেলে রহমতপুর গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে দোকান মালিক মজিবুর,তার ছেলে রেজুয়ান ও তার ছোট ভাই বৌ কুলসুমা খাতুনকে মারধর করে আহত করে।

এব্যাপারে মজিবুরের ছেলে তাহিরপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেনে বলেন, জাকির মেম্বার এলাকায় খুব প্রভাবশালী লোক। তার আত্নীয় স্বজন বেশি থাকায় সে এলাকায় অন্যায়কে ন্যায়ে পরিনত করে। আমরা এলাকার নিরীহ মানুষ। আমার বাড়ির সামনের মসজিদে ইমামকে নিয়ে গত ঈদের সময় একটু বিরোধ ছিল। এরই জেরধরে গতকাল জাকির মেম্বার ৪০/৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমার বাড়ি-ঘরসহ আমার দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।

আমার ভাই, ভাতিজা ও ভাই বৌকে মারপিট করে আহত করে। আমার দোকানের ৭০ হাজার টাকার মালামাল সহ দোকানের ক্যাশ ভেঙ্গে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উর্ধতন কর্মকর্তার কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক এর বিচার চাই। তাহিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) সফিকুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পিবিএ/কামাল হোসেন/এসডি

আরও পড়ুন...