মোঃ বাবুল হোসেন, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে এক স্ত্রীকে নিয়ে দুই স্বামীর কাড়াকাড়ির খবর পাওয়া গেছে। এই নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। আজ রোববার (২০নভেম্বর) উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের কড়িয়া রামনগর গ্রামের ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের হাটখোলা গ্রামের গোলাম মোর্তুজার মেয়ে সুমাইয়া আকতার(২৯) এর সঙ্গে রামনগর গ্রামের নজির বক্সের ছেলে হাসান আলীর সাথে বিয়ে হয়। সেখানে ঘর সংসার চলাকালীন সুমাইয়া আকতার ক্ষেতলাল উপজেলার জলিয়াপাড়া গ্রামের মহাতাব সরকারের ছেলে মতিউর রহমানের সঙ্গে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারী দুজনে বিয়ে করেন। এরপর সুমাইয়ার পূর্বের স্বামী হাসান আলী দ্বিতীয় স্বামী মতিউর রহমানের নিকট থেকে ফুসলিয়ে পুণরায় নিজের নিকট নিয়ে আসে। এদিকে মতিউর রহমান স্ত্রীর খোঁজ করতে গতকাল শনিবার রাতে রামনগর এলাকায় এসে স্ত্রীকে দেখতে পেয়ে তার দাবী করলে সুমাইয়ার বর্তমান স্বামী হাসান আলী তাকে আটকে রাখেন।
তিনি বলেন, সুমাইয়া এখন আমার স্ত্রী। সে পূবে স্বামীকে তালাক দিয়ে আমাকে বিয়ে করেছেন। তবে তার কাছে তালাক নামার কাগজ দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পাননি।
অপরদিকে সুমাইয়ার পূর্বের স্বামী মতিউর রহমানের দাবী, আমার স্ত্রী আমাকে তালাক দিলে আমি তালাকের কাগজ পেতাম। কিন্তু আমি কোন কাগজপত্র পায়নি। তাই সে এখনও আমার স্ত্রী।
দুজনের টানাটানিতে সুমাইয়া আকতার বলেন, হাসান আলী আমাকে জোরপূর্বক আমার দ্বিতীয় স্বামীর নিকট থেকে নিয়ে আসে এবং তালাক করিয়ে বিয়ে করে নির্যাতন করে। তিনিও আরো বলেন, আমার স্বামী ও আমাকে জোর করে আটকে রেখে মারধর করে।
স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যা বলেন, মেয়ের অভিভাবক না আসায় আমি ঘটনা শুনে চলে আসি। পরে কি হলো তা আর বলতে পারব না।
পাঁচবিবি থানার তদন্ত ওসি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।