পাঁচ উপায়ে হাত-পা ফর্সা করুন

পিবিএ ডেস্ক: মুখের রঙ ফর্সা আর হাত-পায়ের রঙ কালচে! এতে চিন্তার শেষ নেই। তাই মুখের পাশাপাশি হাত-পা’কেও ফর্সা করা একইভাবে প্রয়োজন। এজন্য অবশ্য অনেকেই ফুলহাতা জামা পরেন। আবার অনেকেই এমন জুতো পরে পা দুটো ঢেকে রাখা সম্ভব। তবে আর দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই! জেনে নিন হাত পা ফর্সা করার দারুণ পাঁচটি কৌশল!

১. কাঁচা দুধ
মানুষের শরীরের অন্যান্য অংশ সবসময় জামা কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকলেও হাত ও পা দুটোই খানিকটা অনাবৃত থাকে। এছাড়াও রোদ, তাপ ও ধুলোবালি সবই হোত পায়ের ত্বকের ওপরই এসে পড়ে প্রথমে! হাত পায়ের কালচে ভাব দূর করে ফর্সা করে তুলতে কাঁচা দুধের কোনো বিকল্প নেই।

কাঁচা দুধ তুলোর টুকরোয় মাখিয়ে তা হাতে পায়ে মেখে বসে থাকুন অন্তত ১০ মিনিট। সেটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। প্রতিদিন এভাবে ব্যবহার করলে আপনি খুব অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পাবেন উজ্জ্বল ফর্সা হাত-পা।

২. লেবুর রস
আমরা জানি লেবুর রসে আছে এমন এক ধরনের সাইট্রিক অ্যাসিড,যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। লেবুর রস তুলোয় করে হাতে আর পায়ে লাগিয়ে নিন আর রেখে দিন প্রায় ১০ মিনিট মতো। তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। তবে এই কাজটি অবশ্যই আপনাকে করতে হবে রাতের বেলায়। কারণ,লেবুর রস লাগিয়ে আপনি রোদের মধ্যে গেলে ত্বকের রঙ ফর্সা হওয়ার বদলে উল্টো কিন্তু কালো হয়ে যেতে পারে!

৩. মধু ও শসা
মধু ও শসার রস একসঙ্গে মিশিয়ে তা ত্বকে ব্যবহার করুন। আপনার হাত পা শুধু উজ্জ্বলই হবে না,বরং হাত পায়ের খসখসে ভাব দূর করে তাকে করে তুলবে কোমল ও মসৃণ। শসা থেকে আগে রস বের করে নিন। তারপর এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ হাতে আর পায়ে মাখিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে নিন। তারপর ধুয়ে নিন। এটা সপ্তাহে দু’দিন করুন।

৪. টমেটো
রূপচর্চায় টমেটো ব্যবহার হয়ে থাকে প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে-জানেন নিশ্চয়ই টমেটো পেস্ট করে সেটি হাতে ও পায়ে লাগিয়ে রাখুন টানা ১৫ মিনিট। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অল্প কদিনের মধ্যেই পরিবর্তনটা আপনি নিজেই টের পাবেন!

৫. মসুর ডাল
ত্বকের বর্ণ উজ্জ্বল করে তুলতে মসুর ডাল বাটা কাজ করে খুবই চমৎকারভাবে। দুধ বা দই’এর সঙ্গে মসুর ডাল বেটে নিয়ে পেস্ট তৈরি করে তা হাত ও পায়ে লাগান। এভাবে অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট বসে থাকুন সম্পূর্ণ শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত। এটি ত্বকের মরা চামড়াকেও সারিয়ে তুলতে সাহায্য করবে।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...