প্রতিদিনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় মধুর কার্যকারিতা

করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে আর বাড়াতে হবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, অর্থাৎ ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। এর মাধ্যমে মহামারি ছাড়াও অন্যান্য ভাইরাসজনিত রোগ যেমন জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া থেকেও সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব।

তবে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন বেশি পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিক্যলের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে শরীরে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আবার এটি ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখার পাশাপাশি সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে। এছাড়াও এটি ভিটামিন ‘সি’ ও ‘এ’-এর অভাবজনিত ক্ষতি থেকে আমাদের বাঁচায়। ফলে আমরা প্রাণোচ্ছলতা ফিরে পাই। স্মৃতিশক্তি ঠিক থাকে। যে সকল খাবার থেকে আমরা বেশি পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পেতে পারি তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মধু। পুষ্টিবিদদের মতে মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। কিন্তু এতে চর্বি ও প্রোটিন নেই। তাই প্রতিদিনের ফিটনেসের জন্যও উপকারী।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত এক চামচ খাঁটি মধু খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ ও বিভাগীয় প্রধান শামসুন্নাহার মহুয়া। তিনি বলেন, মধুতে প্রায় ৪৫টিরও বেশি খাদ্য উপাদান থাকলেও এতে কোনো চর্বি ও প্রোটিন নেই। চিনির পরিবর্তে মিষ্টি খাবারে মধুর ব্যবহার অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। চিনি আমাদের শরীরে জমে গিয়ে গ্লুকোজ বাড়িয়ে দেয়। আর মধু আমাদের শরীরে শক্তি যোগায় এবং শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত মধু খেলে লিভার পরিষ্কার থাকে, শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলো বের করে দেয় এবং শরীরের মেদ গলে বের হয়ে যায়। ঠাণ্ডা-কাশি সারাতে সাহায্য করে। এছাড়া সংক্রমণ দূর করে। তবে ডায়াবেটিস থাকলে মধু খেতে চাইলে, অবশ্যই আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে।

আমাদের দেশে সুন্দরবনের মধু খুবই জনপ্রিয় হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা আসল মধুর নামে বাজারে ভেজাল বা চিনিমিশ্রিত মধু খোলা বাজারে বিক্রি করে থাকেন। তাছাড়া শুধুমাত্র আহরণের পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতার কারণে সুন্দরবনের মধুতেও দেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান মিশে যাওয়ার সুযোগ থাকে। তাই ঝুকি এড়াতে বিএসটিআই এর যাচাইকৃত ও পরীক্ষিত মানের মোড়কজাত মধু কেনা উত্তম। বাংলাদেশে যে সকল মধু পাওয়া যায় তার মধ্যে ডাবর হানি শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে।

এর ব্র্যান্ড ম্যানেজার বলেন, একটি জরিপমতে ডাবর হানি বিশ্বের ১ নম্বর মধু। কারণ ডাবর একশরও বেশি কোয়ালিটি চেকের মাধ্যমে নিশ্চিত করে যেন একশ ভাগ পিওর ও মানসম্মত মধু ভোক্তাদের ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিককালে ডাবর হানি ইসালামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক হালাল সার্টিফিকেট পেয়েছে।

আরও পড়ুন...