
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সাকিব নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সুজন বর্মন নামের এক ভারতীয় চোরাকারবারি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। বিজিবির তৎপরতায় ঢাকা থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫ মে) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলে, গতকাল রোববার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত দিয়ে একটি সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় ভারতীয় চোরাকারবারি সুজন বর্মন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি অনুসন্ধান ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে বিজিবির একটি টহলদল রাজধানীর মগবাজারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে আটক করে এবং পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
আটক সুজন বর্মন ভারতের আগরতলার বটতলী গ্রামের মঙ্গল বর্মনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে মগবাজার থানা পুলিশের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা এলাকায় গুলির ঘটনা ঘটে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের বলেন, কসবায় সীমান্তবর্তী এলাকায় গতকাল দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ সাকিব গুলিবিদ্ধ হন। এতে ভারতীয় ওই নাগরিকও আহত হন। গুলিবিদ্ধ সাকিবকে উদ্ধার করে স্বজনেরা ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তিনি পথে মারা যান। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম বলেন, ওই দুজন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে মোটরসাইকেল আনছিলেন। বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।