
মারুফ সরকার,বিনোদন: সদ্য অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ‘সাধারণ সম্পাদক’ পদটি নিয়ে শঙ্কা যেন কাটছেই না। ‘ভোট কেনার’ অভিযোগ আনা হয় নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে। এছাড়াও বেশকিছু অভিযোগে এই পদ বাতিলের আবেদন করেন পরাজিত প্রার্থী নিপুণ আক্তার। এই পদে পুনরায় নির্বাচনও দাবি করেন এই অভিনেত্রী।
নিপুণের আবেদনের প্রেক্ষিতে জায়েদ খানের পদ বাতিল হবে নাকি তিনিই দায়িত্বে থাকবেন- সে বিষয়ে শনিবার বিকেলে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ি সিদ্ধান্ত জানাতে এফডিসিতে অবস্থান করছে শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ড।
যেখানে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিলো অভিযোগকারী নিপুণ, অভিযুক্ত জায়েদ খান, চুন্নু, সমিতির নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও দুই নির্বাচন কমিশনারকে। তবে অভিযোগকারী নিপুণকে আপিল বোর্ডের সভায় উপস্থিত থাকতে দেখা গেলেও পাওয়া যায়নি জায়েদ খান কিংবা চুন্নুকে।
এ বিষয়ে এফডিসিতে উপস্থিত আপিল বোর্ডের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান বলেন, অভিযোগকারী নিপুণ আপিল বোর্ডের বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন, তবে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত কেউ আসেননি। আমরা শিল্পী সমিতির অফিসে বসতে চেয়েছিলাম, কিন্তু অফিসটি তালাবদ্ধ। কাউকে পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় শিল্পী সমিতির বাগান সংলগ্ন চত্ত্বরে বসেছি। বিকেল ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবো, এরমধ্যে যদি দুই পক্ষ না আসে তাহলে আমরা একটা সিদ্ধান্ত জানাবো।
নির্বাচনে জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হারার পর ভোট পুর্নগণনার আবেদন করেছিলেন নিপুণ। সেখানেও ফলাফল অপরিবর্তিত থাকার পর এক সংবাদ সম্মেলনে ভোটের দিন জায়েদ খানের বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ করেন এ অভিনেত্রী। পরে শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ডে জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদ বাতিলের আবেদন করেন নিপুণ। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে করণীয় জানতে আবেদন করেছিলেন সোহান।
মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আপিল বোর্ডকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা মেনে দুই পক্ষকে নিয়ে বসার উদ্যোগ নেন সোহান।
তবে বৈঠকে যাবেন না বলে আগেই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জায়েদ। আপিল বোর্ডের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘২৯ জানুয়ারির পর থেকে আপিল বোর্ড বিলুপ্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই।’ শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানসহ পাঁচ জনের নামে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন জায়েদ।