ক্ষমতাসীনরা বিএনপি কর্মীদের ওপর গুপ্ত হামলা করছে: রিজভী

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাতের অন্ধকারে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর রাজাকার, আল বদর, আল শামস ও শান্তিবাহিনীর মতো গুপ্ত হামলা করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

এ সময় রিজভি বলেন, ‘মাথায় হেলমেট, মুখে মুখোশ পরে নম্বর প্লেটবিহীন মাইক্রোবাস অথবা মোটরসাইকেলে রাতের অন্ধকারে এসে গুপ্ত হামলা করছে আওয়ামী গুপ্ত ঘাতকেরা। রাতের অন্ধকারে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাসা-বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, বাড়িঘর ভাঙচুর ও ককটেল বোমা মারা হচ্ছে। এসব ঘটনায় সরাসরি পুলিশ প্রশাসন মদদ দিচ্ছে।’

গুপ্ত হামলায় ৪ বিএনপি নেতা-কর্মী রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের গুপ্ত হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। একই কায়দা-কৌশলে গত এক মাস ধরে দেশে রক্ত ঝরাচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসবাদী দল।’

গুপ্ত হামলাকারীদের শান্তিবাহিনী ও হানাদার বাহিনী আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘রাতে আওয়ামী দলদাস হানাদার বাহিনীর মতো হানা দিচ্ছে গণতন্ত্রকামী মানুষের বাড়ি-বাড়ি। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের না পেলে তাঁদের সন্তান, স্ত্রী, মা-বোন-ভাই-বাবাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ভাঙচুর লুটপাট করছে। মুক্তিপণ আদায় করছে। ১৯৭১ সালে রাজাকার, আল বদর, আল শামস, শান্তিবাহিনীর লোকজন পাকিস্তানি বাহিনীকে বীভৎস হত্যার মদদ দিত, ধরিয়ে দিত মুক্তিযোদ্ধা বা তাঁদের পরিবারের লোকজনদের। আওয়ামী লীগ এখন সেভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ এখন নতুন করে রাজাকার, আল বদর, আল শামস, শান্তিবাহিনীর ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছে।’

রিজভী আরও বলেন, এত কিছুর পরও প্রবল শক্তিতে হানাদারমুক্ত বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষে আন্দোলনের মাঠে লড়ছে বিএনপিসহ সমস্ত গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলো। বৈপ্লবিক স্তরে প্রবেশ করেছে তারা। শেখ হাসিনার একদলীয় তামাশার নির্বাচনের স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে জনগণের মুক্তি ঘটবে যে কোনো সময়ে।

সারা দেশে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের চিত্র তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩৫৫ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৪টি মামলায় অন্তত ১ হাজার ২৬৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই সময়ে বিভিন্ন হামলায় দলের অন্তত ৭০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলেও জানান রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেন রিজভী। একই সঙ্গে আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে সারা দেশে মানববন্ধনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন তিনি।

আরও পড়ুন...