জামালপুরে পতিতাপল্লী থেকে কিশোরী উদ্ধার

পিবিএ,জামালপুর: জামালপুর রাণীগঞ্জ পতিতাপল্লী থেকে ১২ বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পতিতাপল্লীর ২ নম্বর বাড়ির সর্দানী শিউলির কাছে ছিল কিশোরীটি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় কিশোরীটিকে উদ্ধার করে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার হয়নি কেউ।

জামালপুর থানার ডিউটি অফিসার তৃণারাণী ঠাকুর পিবিএ’কে জানিয়েছেন, সোমবার জামালপুর থানায় এসে মেয়ে হারিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন কিশোরীটির পিতা নজরুল ইসলাম। তিনি এও জানান, রবিবার রাতে মোবাইলে এক ব্যক্তি তার শশুরের কাছে জানিয়েছে যে, ‘ক’ নামে একটি মেয়ে জামালপুর পতিতাপল্লীতে রয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিকেল সাড়ে ৩টায় পতিতাপল্লীতে অভিযান চালিয়ে ২ নম্বর বাড়ির সর্দানী শিউলির কাছ থেকে কিশোরটিকে উদ্ধার করেন টিএসআই আবুল হোসেন।

নেত্রকোনা জেলার কমলকান্দা থানার কুয়ারপুর গ্রামে উদ্ধারকৃত কিশোরীটির বাড়ি। বর্তমানে কিশোরটি তার পিতামাতার সাথে ঢাকার ডেমরায় কুতুবখানা রোডে বসবাস করছিলেন। কিশোরীটির পরিবার পিবিএ’কে জানিয়েছে, ২ নভেম্বর শনিবার বিকেল থেকে আমাদের মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাইনি। গতকাল রাতে আমার শ^শুরের মোবাইলে এক অচেনা লোক ফোন করে বলেন যে, মেয়েটি জামালপুর পতিতাপল্লীতে রয়েছে। সোমবার সকালে জামালপুর এসে আমরা থানায় অভিযোগ করি।

পরিবারটি আরও জানায়, চাকরি দেয়ার কথা বলে মেয়েটিকে জামালপুর এনে পতিতাপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। যার কাছ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। পতিতাপল্লীর ২ নম্বর বাড়ির সর্দানি শিউলির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে মুখ খুলেন নি। তবে আশেপাশের লোকজন জানিয়েছেন, শিউলি ৮ দিন ধরে কিশোরীটিকে দিয়ে জোর করে দেহব্যবসা করাচ্ছিল।

মেয়েটির কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে এক ব্যক্তি তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন। জামালপুর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জান পিবিএকে জানিয়েছেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে তার পিতামাতার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ গ্রেফতার হয়নি।

পিবিএ/রাজন্য রুহানি/বিএইচ

আরও পড়ুন...