দলের পক্ষে থাকার আহ্বান জানালেন হাবিব হাসান

ডি এম শাহীন, ঢাকা: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাবিব হাসানকে দেয়া ঢাকা ১৮ আসনটি জাতীয় পার্টিকে দেয়াতে ঢাকা ১৮ আসনের আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন নেতাকর্মীরা মনোবল ভেঙে পড়েছে। তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতে গতকাল (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মোহাম্মদ হাবিব হাসান তার নিজ কার্যালয়ে তার মতামত জানাতে নেতাকর্মীদের ডাকেন।

নেতাকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময়ের এক পর্যায়ে বক্তব্যে নেতা কর্মীদের উপস্থিতি ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে কেঁদে কেঁদে বক্তব্য দিতে থাকেন হাবিব হাসান। এ সময় সেখানে উপস্থিত থাকা প্রায় সব নেতাকর্মীরা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

বক্তব্যে হাবিব হাসান বলেন, দল ও নেত্রীর সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত, আমি তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে আসছি-আমাকে দল যখন যা সিদ্ধান্ত দিবে আমি সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলবো-দলের বাইরে কখনো যায়নি আর যাবো না।

তিনি আরও বলেন-আমি এমপি হয়ে ঢাকা ১৮ আসনকে একটি আধুনিক আসন গড়ে তোলার যে প্রত্যয় নিয়েছিলাম আমরা সবাই এক মতের মধ্যে থাকলে সেটা বাস্তবায়ন অবশ্যই সম্ভব । আপনাদের আবেগ আমায় দুর্বল করে দিচ্ছে, আপনাদের ভালোবাসা আমায় সাহস দিয়েছিলো তাই আপনাদের নিয়েই প্রতিটি লড়াই জয়ী হয়েছি। আপনাদের সকলের সাহস এবং ভালোবাসায় আমি অবশ্যই নিজেকে সামলে নিতে পারবো।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেশ ও দলের স্বার্থে, আপনাদের আমাদের সকলের কল্যাণের স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর কাছে শোকর আদায় করি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। যতদিন বাঁচবো আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করে যাবো ইনশা-আল্লাহ। আপনারা পূর্বে যেভাবে আমার সাথে রাজপথে ছিলেন -থাকবেন, আর যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন এতে আমি ধন্য, দোয়া করবেন যেন আমরা ঢাকা ১৮ আসনের জন্য মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ করে যেতে পারি। আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -বঙ্গবন্ধুর ও তার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।

সবশেষে তিনি দুদিনের সময় চেয়ে বলেছেন, দল থেকে যে দিকনির্দেশনা আসবে সেই দিক নির্দেশনা যেনো আমরা সবাই মেনে চলি সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

উল্লেখ্য -নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ২৬টি ও অন্যান্য দলকে ৬ আসন মোট ৩২ আসন ছেড়েছে আওয়ামী লীগ। এ ধারাবাহিকতায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদেরের জন্য ঢাকা-১৮ আসন থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করেছে আওয়ামী লীগ।

আরও পড়ুন...