
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের ০৪ জন সহ মোট ০৬ জন নিহতের ঘটনায় দায়ী ঘাতক বাসচালক মোহাম্মদ নুরুদ্দিন’কে গত রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গতকাল (২৭ ডিসেম্বর) আনুমানিক সকাল ১১:০০ ঘটিকায় ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় ব্যাপারী পরিবহন নামক একটি বেপরোয়া গতির বাসের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৫১৭০) চাপায় পিষ্ট হয়ে নারী ও শিশুসহ ০৬ (ছয়) জনের নির্মম মৃত্যু হয়। র্যাব বর্ণিত ঘটনায় ঘাতক চালককে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১০ ও র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) মধ্য রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি এলাকা থেকে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িত ঘাতক বাসচালক মোঃ নুরুদ্দিন (২৯)’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত বাসচালক দুর্ঘটনার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত নুরুদ্দিন গতকাল (২৭ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০.১৫ ঘটিকায় ৬০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার সায়েদাবাদ হতে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। বাসটিতে যাত্রীবোঝাই থাকলেও সে দ্রুত পৌছানোর জন্য বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাতে থাকে।
পরবর্তীতে সে একই তারিখ সকাল আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকার সময় ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে টোল প্লাজায় টোল দেওয়ার জন্য অপেক্ষারত একটি প্রাইভেটকার ও একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। উক্ত ঘটনায় প্রাইভেটকারের ০৪ জন এবং মোটরসাইকেলে থাকা একজন মহিলা এবং সাত বছরের বাচ্চাসহ মোট ০৬(জন) নিহত হয়। এ ঘটনায় আরও ১০ জন গুরুত্বর আহত হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত নুরুদ্দিন গত ১০ বছর ধরে বাস,ট্রাক,পিকআপসহ বিভিন্ন ধরণের গাড়ি চালিয়ে আসছিল। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ০২ বছর যাবৎ মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। এছাড়াও বাসটির কোনো ফিটনেস সনদ ছিল না।
দুর্ঘটনার পর সে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে অটোতে করে আব্দুল্লাহপুর আসে। এরপর সে সিএনজিযোগে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে তার ফুফাতো বোনের বাসায় চলে যায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে র্যাব-১০ এবং র্যাব-১১ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল কর্তৃক বর্ণিত আসামী ধৃত হয়।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।