পিবিএ,বরগুনা: বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে, পারিবারিক কবরস্থানে রিফাত শরীফের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। । রিফাত শরীফের জানাজায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রিফাতের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে মরদেহ নিয়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বরগুনার নিজ বাড়িতে পৌঁছায় একটি অ্যাম্বুলেন্স। অ্যাম্বুলেন্স বাড়িতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।
জানাজা নামাজে ইমামতি করেন বরগুনা কামিল (মডেল) মাদরাসা জামে মসজিদের ইমাম ক্বারী মো. সোলায়মান। জানাজায় অন্যান্যের মধ্যে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বরগুনা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক আলহাজ মো. জাহাঙ্গীর কবীর, বরগুনা জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বরগুনার সাবেক সংসদ সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, জেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল আহসান মহারাজ, সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবুসহ এলাকাবাসী অংশ নেন।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। এ সময় তারা নিহত রিফাতের হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান এবং তাদের যে কোনো সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশাকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরও দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারা। রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।
পিবএ/জেএন/হক