প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দীঘিনালায় মেলার নামে চলছে অবৈধ কার্যক্রম

 


আল-মামুন,খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় বৈসাবি সম্প্রীতি মেলা’র নামে দীর্ঘ প্রায় ১৩ ধরেই অশ্লীল নৃত্য,হাউজি ও সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে স্বর্বশান্ত করে র‌্যাফেল ড্র’র নামে জমজমাট অভিনব জুয়ার আসর চলছেও তা বন্ধে অপারগ স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলা সদরে প্রশাসনের নাকের ডগায় বৈসাবির নামে সম্প্রীতির এ অবৈধ চললেও যেন দেখার কেউ নেই।

বর্তমানে চলমান উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ছাড়াও অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুক) এ নিয়ে তোল পাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে মৌখিক ও লিখিত ভাবে অভিযোগ হলেও উল্টো অভিযোগকারীকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। অবৈধ জুয়া,র‌্যাফেল ড্র ও জীবন্ত পুতুলের নৃত্য কে জায়েক করতে স্থানীয় কিছুই সাংবাদিকদের প্রভাবিত করা হচ্ছে।

অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সব যেনেও মেলার কর্তৃপক্ষের কাছে যেন অসহায় স্থানীয় প্রশাসন। জানা গেছে মেলার আয়োজকদের সাথে রাতের আঁধারে সংশ্লিষ্টদের দহরম-মহরম সম্পর্ক পাকাপুক্ত রাখতে নানা রকম লেনদেনর আলোচনাও চলছে।

অভিযোগ করেন, গত ৯ এপ্রিল থেকে কবাখালী ইউনিয়নের অন্তর্গত সওজ’র মাঠে বৈসাবি ও বৈশাখী মেলার নামে দৈনিক তামান্না র‌্যাফেল ড্র, অশ্লীল নৃত্য ও হাউজি’র নামে অবাধে জুয়া এবং অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। এতে করে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা ও চলমান উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পড়াশুনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

মেলায় এক প্রান্তে র‌্যাফেল ড্র’র বুথ, অন্য প্রান্তে হাউজি ঘরসহ বেশ কিছু বন্ধ ঘর এবং স্টল দেখা যায়। রাতের বেলায় পুরো চিত্র ভিন্ন রকম দেখা যায়। হাউজি, র‌্যাফেল ড্র, জাদু ও অশ্লীল নাচগান দেখতে একশ্রেণির দর্শক উপস্থিতি চোখে পড়ে। এছাড়া সকাল থেকে দীঘিনালাসহ পুরো জেলায় র‌্যাফেল ড্র বিক্রির মাইকবাহী গাড়ি চষে বেড়াচ্ছে। এসব কিছুর পরও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজ।

এ বিষয়ে মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি মুজিবুর রহমান (প্রকাশ মুজিব মেম্বার) এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনুমতি আছে। সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন নামের এক সাংবাদিক প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে মেলার সবকিছু দেখাশুনা করছেন।

এছাড়াও স্থানীয় সাংবাদিক-প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ে মেলা চলছে এবং মেলার আরো ১৫ দিন বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত আছে জানিয়ে তিনি সম্প্রীতি ও বৈসাবী মেলার নামে প্রশাসনের দোহায় দেন।

এ সময় আয়োজক কমিটিতে সাংবাদিকসহ আরো ১১ জন আছে বলেও তিনি জানান। এদিকে, মেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নজরুল ইসলাম, স্থানীয় হেডম্যান, সাংবাদিকসহ রাজনৈতিক দলের লোকজন জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে জানতে সাংবাদিক নাজিম উদ্দিনের মুঠোফোনে কল করেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এত কিছুর পরও কিভাবে মেলা চলছে সেটি খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

এসব সংগঠনের পক্ষ থেকে মেলায় লটারি-হাউজি এবং নানামুখী অবৈধ কর্মকান্ডের নামে সাধারণ মানুষ থেকে হাতিয়ে নেয়া অর্থ উদ্ধার এবং রাজস্ব ও কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: উল্লাহ পিবিএ;কে বলেন, পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বারবার কল দিলেও ফোন রিসিভ করেননি দীঘিনালা থানার ওসি।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো: শহিদুল ইসলাম পিবিএ’কে জানান, বৈসাবি ও বৈশাখী মেলা করার জন্য কিছু শর্তসাক্ষেপে মেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে শর্ত ভঙ্গ করে র‌্যাফেল ড্র, হাউজি ও অশ্লীল কিছু করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পিবিএ/হক

আরও পড়ুন...