বিমানবন্দর এলাকা থেকে ইয়াবাসহ কারবারি গ্রেফতার

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ ১ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এয়ারপোর্ট সার্কেল।

গতকাল বৃহস্পতিবার ( ১মে) রাত ৮ টা থেকে ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানাধীন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেটের বাহিরে দর্শনার্থী বিশ্রামাগারের সামনে রাস্তার উপর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার (২ মে) মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রো উত্তর এয়ারপোর্ট সার্কেল পরিদর্শক দেওয়ান মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামি হলো- নুরুল কাইছার ওরফে শাহিন (৩২)।

জিল্লুর রহমান বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানাধীন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেটের বাহিরে দর্শনার্থী বিশ্রামাগারের সামনে রাস্তার উপর ৩০০০ পিস ইয়াবাসহ একজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এসময় একটি নীল পলিথিনের ভিতর তিনটি স্বচ্ছ জিপারযুক্ত পলি প্যাকেটে অ্যামফিটামিনযুক্ত লালচে গোলাপী বর্ণের ৩হাজার পিস ট্যাবলেট যার বাণিজ্যিক নাম ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও একটি Redmi Note 11 নামীয় স্মার্ট মোবাইল ও একটি itel বাটন মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।

জিলুর রহমান বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) ঢাকা, এই মর্মে আপনার থানায় এজাহার দায়ের করিতেছি যে, প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০১মে উপপরিদর্শক- মির্জা মো. মনিরুজ্জামান, সহকারী উপ-পরিদর্শক আব্দুল হালিম সরদার, সিপাই বিল্লাল খান ও সিপাই সাবরিনা তাবাছভূম এদের সমন্বয়ে একটি রেইডিং টিম গঠন করে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানাধীন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেটের বাহিরে দর্শনার্থী বিশ্রামাগারের আশেপাশে গোপনে অবস্থান করি। সংবাদ দাতার ৮৩ বর্ণনা মতে দর্শনার্থী বিশ্রামাগারের সামনে রাস্তার উপর আসামী নুরুল কাইছার ও শাহিন (৩২) কে সময় সাড়ে ৮ ঘটিকায় ঘেরাও পূর্বক আটক করি। উপস্থিত লোকজনদের মধ্যে থেকে মো. ইয়াকুব (২১) ও মোহাম্মদ আল্লী (২২) দ্বয়কে সাক্ষী মানিয়া (সাক্ষীদের নাম ঠিকানা জব্দতালিকায় বর্ণিত) তাদের সম্মুখে বিধিমোতাবেক আসামীর দেহ তল্লাশী করিয়া আসামী নুরুল কাইছার (ঘ) শাহিন (৩২) এর পরিহিত জিন্স প্যান্টের নিচে আন্ডার ওয়ারের ভিতর বিশেষ কৌশলে লুকায়িত একটি নীল পলিথিনের ভিতর তিনটি স্বচ্ছ জিপারযুক্ত পলি প্যাকেটে অ্যামফিটামিনযুক্ত লালচে গোলাপী ট্যাবলেট যার বাণিজ্যিক নাম ইয়াবা (১০০০+১০০০+১০০০) = ৩০০০ (তিন হাজার) পিস যার ওজন পলিথিনসহ (৯৫+৯৫+৯৫)= ২৮৫ (দুইশত পঁচাশি) গ্রাম এবং আসামীর পরিহিত জিন্স প্যান্টের সামনে ডান পকেটে প্রাপ্ত একটি Redmi Note 11 নামীয় স্মার্ট মোবাইল, যার সীম নং- ০১৯৫৬৯৫১৫৪৫ ও ০১৮৫৮১৮৬৭২৬. IMEI No 1-860359060806063/00, IMEI NO 2-860359060806071/00. ও একটি itel নামীয় বাটন মোবাইল যার সীম নং-০১৮৭৫৭২১৯৫৮ উদ্ধার ও জব্দ করি। ঘটনাস্থলে আসামীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করি। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকৃত আলামতের একটি জব্দতালিকা সময় ২১:১০ ঘটিকায় প্রস্তুত করিয়া উহাতে সাক্ষীদের স্বাক্ষর, আসামীর স্বাক্ষর নেই এবং আমি নিজেও স্বাক্ষর করি।

উদ্ধারকৃত আলামত একই রুপ হওয়ায় তিনটি প্যাকেট হতে একটি করে তিনটি স্বাচ্ছ জিপারযুক্ত পলি প্যাকেটে রেখে তিনটি সাদা কাগজের প্যাকেটে যর্থাক্রমে ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ চিহ্নিত করে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য (০১-০১-০১)= ০৩ (তিন) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নমুনা হিসেবে পৃথক করিয়া নমুনা ও অবশিষ্ট আলামত পৃথক পৃথকভাবে সীলগালা করিয়া বিভাগীয় হেফাজতে নেই।

অতপর আলামত, নমুনা, আসামী ও রেইডিং পার্টিসহ সময় ২১:২০ ঘটিকায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করিয়া অফিসে ফেরত আসি। আসামী নুরুল কাইছার ওরফে শাহিন (৩২) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, সে বিমানযোগে কক্সবাজার থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে এসেছে এবং এই ইয়াবা গুলো একই এত ব্যাক্তির কাছ খেরে সংগ্রহ করেছে।

আরও পড়ুন...