ভারত-পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক করবে যুক্তরাষ্ট্র

জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে দিনকে দিন উত্তেজনা বাড়ছে দক্ষিণ এশিয়ার চির বৈরী দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে উত্তেজনা প্রশমনে দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এ তথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “খুব শিগগিরই আমরা দুই দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব এবং উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানাব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে হবে এই বৈঠক এবং আমরা চাই অন্যান্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও যেন উত্তেজনা প্রশমনে দুই দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলুন। সেক্ষেত্রে আমরা তাদের উদ্যোগকেও স্বাগত জানাব।”

গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের পেহেলগাঁও জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বার উপশাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।

স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলাকারীরা অন্তত ২৬ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করেছে। তাদের গুলিতে আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মিরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা।

ভয়াবহ এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত এবং তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির সিন্ধু নদের পানিবন্টন চুক্তি স্থগিতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। পাল্টা জবাব হিসেবে ভারতের জন্য নিজেদের স্থল ও আকাশসীমা বন্ধসহ একাধিক পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও।

এ হামলাকে ঘরে গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরবৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এই আবহেই গতকাল মঙ্গলবার ভারতের শীর্ষ সেনা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে পাকিস্তান হামলার জন্য সবুজ সংকেত তিনি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে একই দিন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র ও উপপ্রধানমন্ত্রী ইসাক দার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট অধিবেশনে বলেছেন, প্রথম হামলা পাকিস্তান করবে না, তবে সত্যিই যদি যুদ্ধ বেঁধে যায়— তাহলে তার সমুচিত জবাব দেবে ইসলাবাদ।

আরও পড়ুন...