পিবিএ,ঢামেক: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর চাপে নাভিশ্বাস সকলেই। অতিরিক্ত রোগীর কারণে ছিট না পেয়ে অধিকাংশই জায়গা করে নিয়েছে ফ্লোরে। অনেকে ফ্লোরেও জায়গা না পেয়ে ট্রলি উঠা নামার ঢালু সিঁড়ি বা সিঁড়ির নিচে জায়গা করে নিয়েছে। এমনই এক রোগী শফিকুল ইসলাম (৩৫)।
বাড়ি টাঙ্গাইলের এলেঙ্গাতে। ট্রাক লেভার সে। সকালে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রাকে করে ইট নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাক কাত হয়ে মাথায় ইটের আঘাত লাগে। পরে দুপুরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। এরপর তাকে ভর্তি করা হয় নিউরোসার্জারী ওয়ার্ডে। জরুরী বিভাগের ২য় তলায় নিউরোসার্জারী ওয়ার্ডের কোনো বিছানা ফাঁকা না থাকায় তারা নিরুপায় হয়ে একটি মাদুর কিনে এনে জায়গা করে নিয়েছে রোগী উঠা নামানোর ঢালু সিঁড়িতেই।
শুধু শফিকুলকেই নয়। এরকম আরো অনেক রোগীকেই রাখা হয়েছে হাসপাতালের বিভিন্ন সিঁড়ির নিচে,বারান্দায়, বাথরুমের সামনেও। শফিকুলের বড়ভাই মোঃ সেলিম হোসেন জানান, ছোটভাইকে এখানে নিয়ে এসে পড়েছি বিপাকে। রোগী রাখাতো দূরের কথা, ওয়ার্ডের ভিতর দাড়ানোর মতও কোনো জায়গা নেই। কোনো উপায় না পেয়ে সিঁড়িতেই রোগী রেখেছে। ঢালু হওয়ায় এখানে ভালোমত বসাও যায়না। কি আর করার। বিছানা ফাঁকা হলে যদি সেখানে যেতে পারি।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ওয়ার্ডেই প্রায় একই চিত্র। অল্প জায়গায় গাদাগাদি করে রয়েছে শতশত রোগী। রোগীর বেশী চাপ দেখা যায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ২য় তলায়। ২য় তলার জরুরী বিভাগ থেকে বহির্বিভাগ পর্যন্ত পুরো বারান্দাতেই রোগী আর রোগী। এছাড়া মেডিসিন বিভাগেও একই অবস্থা।
ধারণ ক্ষমতার দিগুণেরও বেশী রোগী হওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে প্রতিনিয়তই হিমসিম খায় চিকিৎসক, নার্স সহ কর্মচারীরা। আর পাশাপাশি রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনদেরও পুহাতে হয় কষ্ট।
পিবিএ/এইচএ/আরআই