সিরাজগঞ্জে প্রথমবারের মতো জিরা চাষ করেছে পলাশ

সোহাগ হাসান জয়,সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে প্রথমবারের মতো জিরা চাষাবাদ শুরু করেছেন মাহবুবুল ইসলাম পলাশ নামে এক কৃষি উদ্যোক্তা। তার এই উদ্দ্যোগ দেখে স্থানীয় অন্য কৃষকদের মধ্যেও আগ্রহ বাড়ছে।

জানা যায়, জেলার কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট গ্রামের মাহবুবুল ইসলাম পলাশ একজন কৃষি উদ্যোক্তা। তার সংগ্রহে রয়েছে হরেক রকম বিরল বৃক্ষের সংগ্রাহক। তিনি জাতীয় কৃষি পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। এই উদ্যোক্তা সখের বশে বাড়ির পাশে ১০ শতক জমিতে প্রথমবারের মতো বারি-১ জাতের জিরা চাষাবাদ শুরু করেছেন। উত্তমরুপে জমি চাষাবাদ করে সেখানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৪শ’গ্রাম জিরা বীজ বপন করেছে।

স্থানীয়রা জানান, কৃষি উদ্যোক্তার নিজের প্রায় সাত বিঘা বাড়িতে ৩৪৫ প্রজাতির ৪ হাজার হরেক রকম বৃক্ষের সংগ্রহ রয়েছে। ছোট বড় এসব গাছপালায় পুরো বাড়িটি সবুজে ঘেরা রয়েছে। মূলত বিরল বৃক্ষ সংগ্রহ এবং ফসল চাষাবাদে তার আগ্রহ বেশি। একারণে তিনি নিজের জমিতে জিরা চাষাবাদ শুরু করেছেন। তিনি আগের মতোই ভাল সাফল্য পাবে। জিরার ফলন ভাল পেলে আগামীতে এর চাষাবাদের পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি এলাকার কৃষকদের এই চাষাবাদের জন্য সহযোগিতা করবে বলে কৃষি উদ্যোক্তা জানিয়েছেন।

মাহবুবুল ইসলাম পলাশ বলেন, বগুড়ার মসলা গবেষণা থেকে ২ হাজার টাকায় ৪০০ গ্রাম জিরার বীজ সংগ্রহ করে ১০ শতাংশ জমিতে বীজ রোপণ করেছি। ঘরে তুলতে প্রায় ১১০ দিনের মতো সময় লাগে। আশা করছি ফলন ভালো হলে প্রায় ২০ কেজি জিরা হবে। প্রতি কেজি জিরার বীজ ৮ হাজার টাকা দরে বিক্রি করলে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা মতো বিক্রি করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, জিরার চাষে সফল হলে উপজেলার কৃষকদের সুলভ মূল্যে বীজ দেওয়ার চেষ্টা করব। এই জিরার চাষে আগ্রহী করতে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করব যাতে কৃষকেরা জিরা চাষ করে লাভবান হয়। জিরার চাষের জন্য বালু-দোয়াশ মাটির উচ্চ স্থানে চাষ করলে ভালো হয়। ইতোমধ্যে এই জিরা চাষাবাদের জমি দেখতে আশেপাশের কৃষকেরা ছুটে আসছেন। তারাও চাষাবাদের আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

কামারখন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন চন্দ্র বর্মণ জানান, নতুন ফসল হিসাবে পরীক্ষামূলকভাবে জিরা চাষ করেছেন। তার জিরা চাষ কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক নজরে রেখেছে। আমরা শেষ পর্যন্ত এটার ফলন কেমন হয় সেটা দেখব।

আরও পড়ুন...