কুড়িগ্রামে বন্যা দুর্গত মানুষের হাহাকার

কুড়িগ্রামের চিলমাড়িতে বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় ভেলাতে ধান নিয়ে যাচ্ছে কৃষক। ছবিটি চিলমাড়ি ইউনিয়নের করাই বরিশাল এলাকা থেকে তোলা- পিবিএ

পিবিএ, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপূত্র ও ধরলা নদীর পানি স্থিতিশীল হলেও তীব্র ভাঙনের ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। রৌমারীর বন্দবের এলাকায় এলজিইডি’র সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে উপজেলা এখন পানিবন্দী। মঙ্গলবার রাতে চিলমারী উপজেলার কাঁচকল এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গে পুরো উপজেলা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে করে বন্যার পানিতে প্রায় ৬লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে বাড়ীতে আটকে পরা মানুষগুলো জ¦ালানী সংকটের কারণে রান্না-বান্না করতে পারছে না। উচুঁ স্থানে গবাদিপশু রাখলেও গো-খাদ্যের অভাবে গৃহস্তরা অসহায় হয়ে পরেছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের অভাব। যার ফলে বন্যা দুর্গতদের মাঝে শুরু হয়েছে হাহাকার।
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, বন্যার ফলে ৫৬টি ইউনিয়নের ৪৯৮টি গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পরেছে। এতে ১ লাখ ৫২ হাজার ৪শ পরিবারের ৬ লাখ ৯ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেড় লাখ ঘরবাড়ী। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো প্রায় ৫ হাজার মানুষ। বন্যায় ৩২ কিলোমিটার বাঁধ, ৭২ কিলোমিটার কাচা ও ১৬ কিলোমিটার পাকা রাস্তা ক্ষতির সম্মুক্ষীণ হয়েছে। বন্যায় ৪১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক এবং ২টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে ১৫ হাজার ১৬০ হেক্টর। জেলার ২১টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত ৫ মে.টন জিআর চাল, ৯ লক্ষ টাকা, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৬ হাজার ৫২৫টি পরিবারে ১৫ কেজি করে ৬ হাজার ৪২৮ মে.টন ভিজিএফ’র বরাদ্দ উপজেলাগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে।

পিবিএ/মমিনুল ইসলাম বাবু/বাখ

আরও পড়ুন...