পিবিএ,বাগেরহাট: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ৩৫/১ পোল্ডারের ভেরিবাঁধ ৮টি পয়েন্ট থেকে ভেঙ্গে বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের পাঁচ গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় দুই হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়া ভেঙ্গে পড়েছে গোটা উপজেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। ক্ষতি হয়েছে একাধিক কাঁচা ঘরবাড়ী ও গাছপালা এবং ভেসে গেছে পুকর ও ঘেরের নানা প্রজাতির মাছ। পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষি সহ নানা ফসলের।
অপরদিকে , ২১ মে (বৃহস্পতিবার) বিকালে বাগেরহাট জেলা প্রসাশক মোঃ মামুনর রশিদ, শরনখোলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন । এ সময় তিনি দুর্গতদের সার্বিক খোঁজ খবর নেন এবং কিছু ত্রান বিতরন করেন। উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হোসেন জানান, তার ইউনিয়নের তেরাবেকা থেকে গাবতলা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার বেঁড়িবাধের মধ্যে ৮ টি জায়গা থেকে ভেঙ্গে গেছে। এতে বলেশ্বর নদী থেকে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে বগী, গাবতলা, শরণখোলা ও খুড়িয়াখালী এবং চালিতাবুনিয়াসহ পাঁচটি গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক বাড়ীঘর প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া অনেক বাড়ীর চুলায় পানি ওঠায় রান্না বন্ধ হয়েগেছে। প্রায় দুই হাজার বসতি এখন পানি বন্ধী অবস্থায় আছে এবং দুই শতাধিক ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। কাঁচা ঘরবাড়ি গাছ পালা সহ কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি তার ইউনিয়নের জনসাধারনকে রক্ষায় জরুরী বাঁধ মেরামতের দাবি করেন ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ঘূর্ণীঝড় আম্ফানে আনুমানিক শরনখোলায় কোটি টাকার বেশী ক্ষতি হয়েছে। তবে, সঠিক হিসাব নিরুপনের কাজ চলছে।
পিবিএ/সোহাগ হাওলাদার/এমআর