
এমসয় ইবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু হুরায়রা বলেন, ‘কুবি উপাচার্যের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, তিনি দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। আমরা দেখেছি, কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তড়িঘড়ি করে বহিষ্কারের মাধ্যমে উপাচার্য নিজের স্বৈরাচারী মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং আগামী শনিবারের মধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এসময় তিনি কুবি উপাচার্যকে হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, আগামী শনিবারের মধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হলে সারাদেশে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হবে।
মানববন্ধনে প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক মুনজুরুল ইসলাম নাহিদের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ইবি প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি রুমি নোমান, প্রচার, প্রকাশনা ও সাহিত্য সম্পাদক রাকিব হোসেন রেদওয়ান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজাহারুল ইসলাম। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইবি প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য নুর আলম, আবির হোসেন, নাজমুল হুসাইন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শাহেদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমানুল সোহান, দপ্তর সম্পাদক তাজমুল হক জায়িম, অর্থ সম্পাদক রাকিব রিফাত, প্রচার সম্পাদক মুতাছিম বিল্লাহ রিয়াদ ও সদস্য ইমরানসহ সমিতির অন্যান্য সদস্যরা।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন দুর্নীতির বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলে দেশে দুর্নীতির কারণে উন্নয়ন হচ্ছে না। কিন্তু আমি বলব উল্টো কথা। দেশে দুর্নীতি হচ্ছে বলেই উন্নতি হচ্ছে।’ উপাচার্যের এমন বক্তব্য সংবাদে তুলে ধরায় ২ আগস্ট (বুধবার) কোনো ধরণের নিয়ম বা আইনের ধার না ধরে ইকবাল মনোয়ারকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।