
দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন—তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদ ও দীপু মণি।
তবে ময়মনসিংহ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম খালিদ, খুলনা–৩ আসনের সংসদ সদস্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ।
বিভিন্ন সংসদীয় আসনে এমন বেশ কয়েকজন এমপি এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। কিছু স্থানে নতুন মুখ এসেছে, কিছু আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি কিন্তু পুরোনো নেতা— তাঁদের আবার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কাছে ১৮ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে কমপক্ষে ছয়টি আসনে একজন করে মনোনয়ন ফরম কেনেন। বাকি ২৯৪টি আসনে ৩ হাজার ৩৫৬ মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে দলটি। ২৩ থেকে ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
গত ১৫ নভেম্বর ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৭ জানুয়ারি হবে ভোট গ্রহণ।
তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। ৫ জানুয়ারি প্রচার শেষ করে ৭ জানুয়ারি ভোট।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ তাদের জোটভুক্ত ও সমমনা দলগুলো তফসিলকে স্বাগত জানালেও বিএনপি এবং তাদের জোট ও আন্দোলনের শরিক দলগুলো এই তফসিল প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
কুষ্টিয়া ও নারায়ণগঞ্জের দুটি আসনে দল মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি আওয়ামী লীগ। একাদশ জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন এমন ৭১ জন এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন পেলেন না যেসব এমপি:
রংপুর বিভাগ
পঞ্চগড়–১ মজাহারুল হক প্রধান
ঠাকুরগাঁও–২ দবিরুল ইসলাম
রংপুর–৫ এইচ এন আশিকুর রহমান
কুড়িগ্রাম–৩ এম এ মতিন
কুড়িগ্রাম–৪ জাকির হোসেন
গাইবান্ধা–৪ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী
রাজশাহী বিভাগ
বগুড়া–৫ হাবিবর রহমান
নওগাঁ–৩ ছলিম উদ্দীন তরফদার
নওগাঁ–৪ মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক
রাজশাহী–৩ আয়েন উদ্দিন
রাজশাহী–৪ এনামুল হক
রাজশাহী–৫ মনসুর রহমান
সিরাজগঞ্জ–২ হাবিবে মিল্লাত
সিরাজগঞ্জ–৪ তানভীর ইমাম
সিরাজগঞ্জ–৬ মেরিনা জাহান কবিতা
পাবনা–৪ নুরুজ্জামান বিশ্বাস
খুলনা বিভাগ
মেহেরপুর–২ সাহিদুজ্জামান খোকন
ঝিনাইদহ–৩ শফিকুল আজম খান
যশোর–২ নাসির উদ্দিন
যশোর–৪ রণজিত কুমার রায়
মাগুরা–১ সাইফুজ্জামান শিখর
বাগেরহাট–৪ আমিরুল আলম মিলন
খুলনা–১ পঞ্চানন বিশ্বাস
খুলনা–৩ বেগম মন্নুজান সুফিয়ান
খুলনা–৬ আক্তারুজ্জামান বাবু
সাতক্ষীরা–২ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি
সাতক্ষীরা–৪ এস. এম. জগলুল হায়দার
বরিশাল বিভাগ
বরগুনা–২ শওকত হাচানুর রহমান রিমন
বরিশাল–২ শাহে আলম
বরিশাল–৪ পংকজ নাথ
ঢাকা বিভাগ
টাঙ্গাইল–৩ আতোয়ার রহমান খান
টাঙ্গাইল–৪ মোহাম্মদ হাছান ইমাম খাঁন
টাঙ্গাইল–৫ ছানোয়ার হোসেন
টাঙ্গাইল–৮ জোয়াহেরুল ইসলাম
কিশোরগঞ্জ–২ নূর মোহাম্মদ
মানিকগঞ্জ–১ নাইমুর রহমান দুর্জয়
ঢাকা–৫ কাজী মনিরুল ইসলাম মনু
ঢাকা–৭ হাজী সেলিম
ঢাকা–১০ শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন
ঢাকা–১১ এ. কে. এম. রহমতুল্লাহ
ঢাকা–১৩ সাদেক খান
ঢাকা–১৪ আগা খান মিন্টু
গাজীপুর–৩ ইকবাল হোসেন সবুজ
নরসিংদী–৩ জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন
ফরিদপুর–১ মঞ্জুর হোসেন বুলবুল
ফরিদপুর–৩ খন্দকার মোশাররফ হোসেন
ময়মনসিংহ বিভাগ
জামালপুর–১ আবুল কালাম আজাদ
জামালপুর–৪ মুরাদ হাসান
জামালপুর–৫ মোজাফফর হোসেন
শেরপুর–৩ এ কে এম ফজলুল হক
ময়মনসিংহ–৩ নাজিম উদ্দিন আহমেদ
ময়মনসিংহ–৫ কেএম খালিদ বাবু
ময়মনসিংহ–৯ আনোয়ারুল আবেদীন খান
নেত্রকোণা–১ মানু মজুমদার
নেত্রকোণা–৫ ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল
সিলেট বিভাগ
সুনামগঞ্জ–১ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন
সুনামগঞ্জ–২ জয়া সেনগুপ্ত
সিলেট–৫ হাফিজ আহমেদ মজুমদার
মৌলভীবাজার–৩ নেছার আহমদ
হবিগঞ্জ–১ গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ
হবিগঞ্জ–২ আব্দুল মজিদ খান
চট্টগ্রাম বিভাগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৫ এবাদুল করিম বুলবুল
কুমিল্লা–১ মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া
কুমিল্লা–৮ নাছিমুল আলম চৌধুরী
চাঁদপুর–১ মহিউদ্দীন খান আলমগীর
চাঁদপুর–২ নূরুল আমিন রুহুল
নোয়াখালী–৬ বেগম আয়েশা ফেরদাউস
চট্টগ্রাম–১ মোশাররফ হোসেন
চট্টগ্রাম–৪ দিদারুল আলম
চট্টগ্রাম–১২ সামশুল হক চৌধুরী
কক্সবাজার–১ জাফর আলম