
জনগণের রক্ত ঝরিয়ে, লাশের ওপর দিয়ে হলেও সরকার অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চায় না।
রিজভী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি আগামীকাল বুধবারের অবরোধ এবং আগামী বৃহস্পতিবারের হরতাল কর্মসূচি সফল করতে দেশের মানুষ ও দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি (শেখ হাসিনা) এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন যে সবকিছু তাঁর অনুকূলে চাই। যাতে তাঁর অবৈধ ক্ষমতাকে ধরে রাখা যায়। সেই চেষ্টা, সেই চক্রান্ত তিনি ক্রমাগত করে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এতে দেশের জনগণ কী ভাবল, দেশের নাগরিক সমাজ, সুশীল সমাজ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, গণতন্ত্রকামী দেশ ও দেশের বাইরের মানুষ কী ভাবছে—এর তিনি কোনো তোয়াক্কা করেন না। তিনি বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালে যেমন বিভিন্ন মাত্রায় দমন-পীড়ন করা হয়েছিল, এবারও নানা ফন্দি-ফিকির আর জালিয়াতি দেখতে পাচ্ছি।’
সরকার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দিয়ে প্রতারণার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য নিজের কাছে রেখে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর নামে মনোনয়ন ফরম কেনাচ্ছে। কিন্তু তাঁরা (যাঁদের নামে ফরম কেনা হয়েছে) এটা জানেনই না। তিনি এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের নামে মনোনয়ন ফরম কেনার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অভিযোগ করেন, আজ বিকেল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ৩৩৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ে ৯টি মামলায় ১ হাজার ১৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আগামীকাল বুধবার অবরোধ ও বৃহস্পতিবার হরতাল কর্মসূচির পালনের আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, এই সরকারের অধীনে এ রকম দুঃশাসন, দুঃসময়, দুর্দিন অতিক্রম করতে হবে। তাই এই স্বৈরশাসককে পরাজিত করতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করাতে জনগণের শক্তিকে রাজপথে নামিয়ে আনতে হবে।